শাবিপ্রবি (সিলেট): দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। এ ঘটনার সময় তার সঙ্গে থাকা বান্ধবী মারজিয়া আক্তার উর্মিকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত পৌনে ৮টার দিকে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ।
এ বিষয়ে উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমিনা পারভীন বলেন, গতকাল এসময়ে বুলবুলের সঙ্গে নির্মম ঘটনা ঘটে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চাইছেন এ সময়ে উর্মিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে ঘটনাটি সম্পর্কে ভালোভাবে বলতে পারবে সে। তাই তাকে নিয়ে সেখানে যাওয়া হয়।
এ শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে তিমি বলেন, উর্মির ভাষ্য, বুলবুল এবং সে ঘটনাস্থলে বসেছিলেন। হঠাৎ করে মাস্কপরা তিন ব্যক্তি সেখানে আসে। তারা এসে বুলবুলকে একটু দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। এসময় উর্মি অন্যদিকে থাকিয়ে আশপাশে কেউ আছে কিনা দেখতে থাকে বুলবুলকে বাঁচানোর জন্য। পরে বুলবুলের দিকে থাকালে দেখেন তাকে ছুরি মেরে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, নিহত শিক্ষার্থী বুলবুলের সঙ্গে থাকা একমাত্র সহপাঠী বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মারজিয়া আক্তার উর্মি। অসুস্থ অবস্থায় তাকে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। তার সঙ্গে একাধিক সহপাঠী ছিলেন। তার নজরদারিতে হাসপাতালে ছিল পুলিশও। তবে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান উর্মি। পরে মোবাইলে থাকা কল লিস্ট চেক করলে দেখা যায় তা ডিলিট করেছে সে। এর পরে নগরের উপকণ্ঠ বাদাঘাট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে আসার পথে তাকে আটক করা হয়।
এছাড়া ঘটনাস্থলে তাকে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রক্টরের রুমে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত তা এখনো ধোঁয়াশার মধ্যেই রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২২
আরএ