সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, অফিসিয়ালি বাগপত জেলার কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের পূর্ণ মেয়াদের শিক্ষিকা অনামিকা শুক্লা। সম্প্রতি রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর শিক্ষিকাদের ডিজিটাল ডাটাবেস তৈরি শুরু করে। তাতেই ধরা পড়ে যায় ওই শিক্ষিকার প্রতারণা। ডাটাবেসে দেখা যায়, একসঙ্গে ২৫টি স্কুলে অনামিকা শুক্লার নাম রয়েছে।
কাশগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জলি আগরওয়াল জানান, এক বন্ধুর মারফত শনিবার (৬ জুন) শিক্ষা দপ্তরে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। ওই বন্ধুকে বসিয়ে রেখে, তাকে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে আসতে বলা হয়। গাড়ি থেকে নামামাত্র অনামিকা শুক্লা নামে ওই শিক্ষিকাকে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর স্থানীয় থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ তাকে জেরা করে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী ড. সতীশ দ্বিবেদী এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার (৫ জুন) বিষয়টি নজরে আসার পরেই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়।
উত্তরপ্রদেশে সবমিলিয়ে ৭৪৬টি কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। অনামিকা শুক্লার মতো আর কোনো শিক্ষিকা এভাবে কাজ করেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। এছাড়া অনামিকার পক্ষে কী করে এটা সম্ভব হলো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পেছনে দপ্তরের কারও হাত রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২০
এএটি