ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

পোশাক খাতঃ বাংলাদেশের কাছেই পরাজিত হতে পারে বাংলাদেশ

আবুল বাশার, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৩
পোশাক খাতঃ বাংলাদেশের কাছেই পরাজিত হতে পারে বাংলাদেশ

ঢাকা: পশ্চিমা বিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।

চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। পোশাকশিল্প বাংলাদেশের একমাত্র মাল্টি-বিলিয়ন রপ্তানি খাত। দেশের মোট রপ্তানির তিন-চতুর্থাংশের বেশি আসে এ খাত থেকে। এ খাতে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ কাজ করে।

দেশের প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি নির্ভর করে এ খাতের ওপর। এ কারণেই পোশাকশিল্পের সাথে সরাসরি জড়িত না হয়েও গজনফর আলী থেকে রমেশ সেন, জমিলা থেকে বিমলা, সবাই এ খাতের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবেন, কথা বলেন, মতামত দেন, উৎকন্ঠা প্রকাশ করেন এবং গর্ব করেন।
 
এ খাতকে ঘিরে প্রায়ই আশংকার কথা উচ্চারিত হয়। বলা হয়ে থাকে নাশকতার কথা। যখনই এ খাতের মজুরি, শ্রমিকের অধিকার কিংবা নিরাপত্তা নিয়ে কোন দাবি উচ্চারিত হয়, তখনি নাশকতা, ষড়যন্ত্র প্রভৃতি শব্দগুলিও আলোচনায় আসে।   অনেকেই বলেন, বিশ্ব পরাশক্তির সাথে হাত মিলিয়ে অন্যান্য পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলো পোশাক খাতকে ধ্বংস করার জন্য অথবা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে পরাজিত করার জন্য এই নাশকতার ইন্ধন দেয়।

নাশকতার ধোয়া এবং ছায়ায় শেষ পর্যন্ত অনেক সময় শ্রমিকের অধিকারের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। ভয় দেখিয়ে বলা হয়, শ্রমিকের ন্যায্য অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গেলে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বাজার অন্য দেশে চলে যাবে।

শক্তিশালী রপ্তানিকারক চীন থেকে শুরু করে মিয়ানমার, যে কিনা এখনও তৈরি পোশাক রপ্তানিই শুরু করেনি, তার নামও উচ্চারিত হয়। কিন্ত এই একটি মাত্র খাতে বাংলাদেশের যে সুবিধাজনক অবস্থান, তাতে কোন দেশই বাংলাদেশকে পরাজিত করতে পারবে না। বিশ্বে পোশাকশিল্পের রপ্তানি বাজার অনেক বড় এবং তা ক্রমশ বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে।

২০১১ সালে বিশ্বে মোট তৈরি পোশাকশিল্পের পরিমাণ ছিলো প্রায় ১ দশমিক ১৮ ট্রিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ের প্রায় ১০ গুন)। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১ দশমিক ৩৫ ট্রিলিয়ন। একক কোন দেশের পক্ষে এত বিপুল রপ্তানি চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। আজ অবধি চীন বিশ্বের বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। দেশটি ২০০৯ সালে বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির প্রায় ৩২ শতাংশ রপ্তানি করেছে।
কিন্তু, ২০১১ সালে চীনের পোশাক রপ্তানি কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে। একদিকে রপ্তানি বাজারের পরিধি বাড়ছে, অন্য দিকে প্রধান রপ্তানিকারকসহ অন্যান্য অনেক দেশ তাদের রপ্তানি কমিয়ে দিচ্ছে। এর অর্থটা খুব সোজা, বাংলাদেশসহ যে সব দেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে চায়, তাদের জন্য নতুন সু্যোগ তৈরি হচ্ছে। একই সাথে এটি স্পস্ট যে বিশ্ব বাজারে জায়গা করে নেওয়ার জন্য কোন দেশেরই নাশকতা করে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে ধ্বংস করার দরকার নেই। এক সময়ে তৈরি পোশাকশিল্পের বিশ্ব বাজারে যেসব দেশ ছিলো বাংলাদেশের প্রবল প্রতিযোগী। এখন তাদের কেউ কেউ বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করছে। এ বছর বাংলাদেশ প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক চীনে রপ্তানি করতে যাচ্ছে। ২০১১ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানিকৃত প্রধান ১০টি পণ্যের তালিকায় তৈরি পোশাকও জায়গা করে নিয়েছে।

বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগকে কাজে না লাগানোর পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় বাংলাদেশ নিজে ছাড়া আর কেউই হতে পারবে না। শ্রমিকদের নিম্ন মজুরি এবং নিম্নমানের কাজের পরিবেশই এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশকে মনে রাখতে হবে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের মুল্য বোধ পরিবর্তন হয়, যা তার ভোগের প্রকরণকেও প্রভাবিত করে।

পশ্চিমা বিশ্বের অনেক মানুষ এখন কোন পণ্য কেনার আগে সে পণ্যটি তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত শ্রমিকের ওপর কোন অন্যায্য শোষণ হয়নি, এটি নিশ্চিত হতে চায়। কোন উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বা দেশ যদি শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ বলে প্রতীয়মান হয়, তখন ওই প্রতিষ্ঠান বা দেশে উৎপাদিত পণ্য পশ্চিমা দেশের ভোক্তারা কিনতে নিরুৎসাহিত বোধ করে। এ কারণেই পশ্চিমা দেশ সমুহে শ্রমঅধিকার এবং কাজের পরিবেশ প্রশ্নে বাংলাদেশের ইমেজটা কি রকম তার গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অবস্থাদৃ্ষ্টে মনে হয় না এ বিষয়টির গুরুত্ব বাংলাদেশ সরকার কিংবা তৈরি পোশাকশিল্পে জড়িত উদ্যোক্তারা এখনও অনুধাবন করতে পেরেছেন। অথচ এ বিষয়টি আরো অনেক আগেই শ্রীলংকা সরকার এবং সেদেশের উদ্যোক্তারা অনুধাবন করতে পেরেছেন।

২০০৫ সালের পর কোটা পরবর্তী তীব্র প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে টিকে থাকার কৌশল হিসাবে নিজেদেরকে অন্যান্য রপ্তানিকারক দেশ থেকে আলাদা করার জন্য ঠিক এ বিষয়টির ওপরই তারা আলোকপাত করে ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকেই তারা তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করে শ্রীলঙ্কা। এখন সেদেশে উৎপাদিত তৈরি পোশাককে বিশ্বব্যাপী বলা হয় “Garments without Guilt”.  শ্রীলঙ্কা যখন সারা বিশ্বে এ গৌরব অর্জন করে তখন আমাদের পোশাক খাতও সারা বিশ্বে খবর হয়েছে। সেটা ভিন্ন কারণে। ২০০৫ সালে সাভারে স্পেক্ট্রাম গার্মেন্টসের বিল্ডিং ভেঙ্গে গিয়ে তাতে কর্মরত ৬৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। তখনও সরকার এখনকার মতোই নির্বিকার ছিলো।

শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি এবং নিরাপদ কাজের পরিবেশের মতো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের প্রতি সরকার এবং উদ্যোক্তাদের নির্বিকারতাই হতে পারে বাংলাদেশের পোশাকখাতের পরাজয়ের মূল কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা দিয়েছে, যা জিএসপি নামে পরিচিত। আমেরিকা এটি প্রত্যাহারের যে ঘোষণা দিয়েছে তার কারণও কিন্ত বাংলাদেশের অসন্তোষজনক শ্রম পরিবেশ। যদিও বাংলাদেশের পোশাক খাত আমেরিকার বাজারে কোন জিএসপি সুবিধা পায় না। তারপরও সে খাতের শ্রম পরিবেশের কারণেই আমেরিকা এই ঘোষণা দিয়ে ছিল। দু’একটি সংবেদনশীল ঘটনার প্রতি সরকারের প্রদর্শিত অসংবেদনশীলতা এবং উদ্যোক্তাদের উদাসীনতা পরিস্থতিকে আরও জটিল করে তোলে।
 
প্রথমেই আসা যাক শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যা কাণ্ডের প্রসঙ্গে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনের এ কর্মীটিকে কে বা কারা হত্যা করার পর শ্রমিক সংগঠন গুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়ে ছিলো ন্যায্য শ্রমিক আন্দোলনকে দমন করতেই সরকারের কোন বাহিনী তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে তা দৃঢ় ভাবে অস্বীকার করা হয় এবং যত দ্রুত সম্ভব এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত খুনীদের বের করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড দেশে বিদেশে আলোচিত হয়ে ওঠে। আর এ সুষ্ঠ তদন্ত এবং বিচারের সাথে জড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ইমেজ। কিন্ত তারপরও এ বিষয়ে কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। এ হত্যাকাণ্ডটির ওপর গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্ক টাইমস একটি প্রবন্ধ ছাপে। ওই প্রবন্ধে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে যে-ই পোশাক খাতের শ্রমিকদের পক্ষে আন্দোলন করবে, তাকেই কবরে পাঠানো হয়’।

বলা বাহুল্য, তথাকথিত ষড়যন্ত্র এবং নাশকতা এ যাবত কালে বাংলাদেশের পোশাক খাতের যত না ক্ষতি করতে পেরেছে, নিউইয়র্ক টাইমসের এ প্রবন্ধটি তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, প্রবন্ধটি পশ্চিমা বিশ্বের মানবাধিকার এবং শ্রমিকের অধিকার সচেতন ভোক্তাদেরকে বাংলাদেশের প্রতি বিষিয়ে তুলতে পারে এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত পোশাক বর্জনে অনুপ্রাণিত করতে পারে। এ রকম সম্ভাব্য মারাত্মক পরিণতির কথা জেনেও সরকার এবং বিজিএমইএ চুপচাপ বসে থাকে।

কেউ-ই পশ্চিমা বিশ্বকে বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের প্রকৃত অবস্থা ও কারণ জানানোর তাগিদ অনুভব করেনি। সরকার কিংবা বিজিএমইএ’র এই নির্বিকারতার ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। আমেরিকা কর্তৃক জিএসপি বাতিলের যে ক’টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রধান কারণটি হলো আমিনুলের মৃত্যুর ঘটনা। এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিষয়ে সরকার এবং বিজিএমইএ আরও  সক্রিয় হলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে এমন হুমকির মুখে ফেলতো না।

বাংলাদেশ আমেরিকায় তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে কোন জিএসপি সুবিধা পায় না। এ কারণে কেউ কেউ মনে করেন জিএসপি সুবিধা বাতিল হওয়া বা না হওয়া দিয়ে পোশাক খাতের তেমন কিছু আসে যায় না। বিষয়টি ভুল। কারণ, আমেরিকার আনা কারখানার অসন্তোষজনক শ্রম এবং কাজের পরিবেশের অভিযোগটি যদি বাংলাদেশ সফল ভাবে না খণ্ডাতে পারে, তাহলে যারা আমাদের পোশাক খাতকে জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে তাদের কাছে আমাদের নৈতিকতার ভিত্তিটি দুর্বল হয়ে যাবে।

ফলে একই অভিযোগে আগামীতে যদি ইউরোপিয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া প্রদত্ত জিএসপি সুবিধা বাতিল করার উদ্যোগ নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আমাদের কোন অকাট্য যুক্তি থাকবে না। আর সেটিই হবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বড় পরাজয়।

কিন্তু, তারপরও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্টদের। তাজরীন গার্মেন্টসে আগুনে পুড়ে শতাধিক শ্রমিক মারা গেল। সরকার এবং বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হলো, নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলো। কিন্ত সাথে সাথে একথাও বলা হলো, ওরা কোন সাধারণ আগুনে মারা যায়নি। এ আগুন ছিলো নাশকতার।

সেই পুরনো কথা। শরৎচন্দ্র বলেছিলেন, ‘মরার আবার জাত কি?’ বেঁচে থাকলে সরকার এবং বিজিএমইএ-কে উদ্দেশ্য করে বলতেন, ‘আগুনের কোন জাত হয় না। ’ নাশকতা না হয়ে দুর্ঘটনার আগুন হলে তাতেও মানব সন্তান দগ্ধ হতো। কারণ আগুন নির্বাপণ এবং আগুনে প্রানহানি এড়ানোর জন্য ২০০৬ সালের ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী একটি ফ্যাক্টররিতে যা থাকার বাধ্য বাধকতা আছে, তার কোন কিছুই ছিলো না ওই গার্মেন্টসে।

নাশকতার দোহাই দিয়ে আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল পুরো পোশাক খাতের সর্বনাশই টেনে আনছে সরকার। আর এগুলো করে নিউইয়র্ক টাইমসের মতো কোন পশ্চিমা পত্রিকার নতুন কোন শিরোনামের রসদ জুগিয়ে যাচ্ছেন একই সাথে। নতুন এই শিরোনামটি হয়তো হবে, ‘আগুনে পুড়ে মরাই বাংলাদেশের পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়তি। ’ অন্য কোন দেশ নয়, ক্রমাগত এমন শিরোনামের জন্ম দিতে দিতে নিজেই নিজের কাছে পরাজিত হবে বাংলাদেশের পোশাক খাত। আর সরকার এবং বিজিএমইএ-এর নির্বোধ-নির্বিকারের জন্য তাদের গায়ে লাগবে ‘আত্মঘাতক’ এর তকমা।  

লেখক: আবুল বাসার, পিএইচডি,
গবেষক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান,
সাবেক অর্থনীতিবিদ, বিশ্ব ব্যাংক
ই-মেইলঃ cccg67@yahoo.com

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৩
এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।