শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, অভিযোগ করা হয়েছে, আমরা ১৪ দল করে আত্মসমর্পণ করেছি।
দলছুট নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সারাদেশে যখন উন্নয়নের পথে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সমতার যুদ্ধে লড়াই বিস্তৃত হচ্ছে, কৃষকের ধানের দাম, পাটকল শ্রমিকের জন্য যে লড়াই বিস্তৃত হচ্ছে, তখন আমাদের তত্ত্ব দেওয়া হচ্ছে- মতাদর্শ রক্ষা করতে হবে। এমন মতাদর্শ রক্ষা করতে হবে দলছুট হয়ে? আপসোস হয় আপনাদের কারণে। এতে ওয়ার্কার্স পার্টির কোনো ক্ষতি হয়নি।
জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তেব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, যারা যশোরে ওয়ার্কার্স পার্টির মতাদর্শ রক্ষার সম্মেলন করেছেন, তাদের সংখ্যা ৫৫ জন। তারা সারাদেশ থেকে লোকজন ডেকে এনে সম্মেলন দেখিয়েছেন। যারা এই সম্মেলন করেছেন, তাদের আদর্শের উৎস বিমল বিশ্বাস। তিনি তাদের প্রধান উপদেষ্টা। এই বিমল বিশ্বাস ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পতাকা চিনতেন না। তিনি আর সিপিবি আজ এক হবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাদের প্রধান প্রবণতা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তারা দেখতে পান না। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই তারা বুঝতে পারেন না।
যশোর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাড. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, নূর মোহাম্মদ বকুল, সাতক্ষীরার সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লা, পলিট ব্যুরোর সদস্য কামরুল হাসান, শ্রমিক নেতা ইউনুস তালুকদার, যুবমৈত্রীর সভাপতি অনুপ কুমার পিন্টু, যশোর জেলা ছাত্রমৈত্রী সভাপতি শ্যামল শর্মা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮
ইউজি/একে