বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) তিনি কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী গ্রামে অবস্থিত এ কলেজে যান।
কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা যুবলীগ চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানান। বাবার নামের প্রতিষ্ঠানে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পরশ।
কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও উপস্থিত নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, বাবার নামে করা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সত্যিই আমাকে উদ্বেলিত করে। এ প্রতিষ্ঠান বিমোহিত করে আমাকে। আমি আবেগে আপ্লুত যে বাদশা (বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা) চাচাসহ আমার বাবার হাজার হাজার অনুসারী আছেন, যারা বাবাকে মনে রেখেছেন, এটা আমার জন্য গর্বের। আমার জীবনে বাবার শূন্যতা ছিল। কিন্তু আল্লাহ তাআলা এ শূন্যতা পূরণ করার এক ধরনের সুযোগও দিয়েছেন, কারণ বাবাকে তার নেতাকর্মীরা যে পরিমাণ ভালোবাসেন, এটা সত্যিই অবাক করা বিষয়। এছাড়া ষাটের দশকে বাবার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন, যুদ্ধ করেছেন, আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, তারা অনেক সাহসী ছিলেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মুক্তিকামী বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলনে থেকে ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৬ এর ছয় দফার প্রচার এবং প্রকাশের ক্ষেত্রে শেখ ফজলুল হক মনি যে অবদান রেখেছেন, সেটা তো আমরা ইতিহাসের পাতায় পড়েছি। আর এখন বাবার অনুসারীদের কাছ থেকে শুনতে, পারি এ জন্য আমার খুব ভালো লাগে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ এলাকাকে সমৃদ্ধ করবে। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা আলোকিত প্রজন্ম পাব, যে আলোকিত প্রজন্মের স্বপ্ন দেখেছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমার একটা দুর্বলতা আছে। কারণ আমি নিজেই একজন শিক্ষক। শিক্ষার প্রসার ছাড়া প্রগতি আসে না, শিক্ষার প্রসার ছাড়া আমরা অন্ধ জগতেই রয়ে যাই। এ এলাকার শিক্ষার প্রসারে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নেব।
পরে কলেজ প্রাঙ্গণে শেখ ফজলুল হক মনির ম্যুরালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসআই