ঢাকা: পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পুনরায় বাড়ানোয় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও ভ্রান্তনীতির কারণে এমনিতেই জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, মাত্র ১৯ দিন আগে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এক দফায় বাড়ানো হয়েছিল। ১৯ দিন পর আবার খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। এর প্রতিটি জিনিসের দাম আরও বাড়বে। এই বোঝা জনগণ আর সহ্য করতে পারবে না।
তিনি বলেন, জনগণের সরকার নয় বলেই সরকার জনগণকে চরম দুর্দিনে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জালানি তেল, ভোজ্য তেল, সারসহ নিত্যপণ্যের দাম বার বার বাড়িয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের অনুশোচনা নাই। বরং এসব তুঘলকি কাণ্ডের পক্ষে নির্লজ্জের মতো তারা মিথ্যাচার করছে।
গণবিরোধী সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছর রেকর্ড হারে জালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের দাম একমাসেই রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে খুচরা চালাকি করছে। এতদিন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানি করে দাম বাড়াতো। সেখানেও সরকারের ইঙ্গিতে দাম বাড়ানো হতো। এবার সরকার নিজেই এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে দাম বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল বার বার জনগণকে দিতে হচ্ছে। সরকার ও তার অনুগতদের দুর্নীতি, লুটপাটের কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। এই পকেট কাটা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ আজ জেগে উঠেছে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি করে বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ১০ দফাসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
এমএইচ/এমএইচএস