ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘আইনস্টাইন ইভিএম দেখলে হার্ট অ্যাটাক করতেন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
‘আইনস্টাইন ইভিএম দেখলে হার্ট অ্যাটাক করতেন’

ঢাকা: বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দেখলে হার্ট অ্যাটাক করতেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিবাদ সভাটির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল উত্তরাঞ্চলের সাবেক ও বর্তমান নেতারা।

হাবিব-উন নবী খান সোহেল বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আইনস্টাইন এলেও ইভিএমের ফল পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এই সংবাদটি দেখার পর আমার কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে গেছে! কথাটা এক পর্যায়ে ঠিকই বলেছেন। ইভিএমে কারসাজির যে অ্যারেঞ্জমেন্ট আপনারা করে রেখেছেন, তাতে যদি আইনস্টাইন জীবিত হয়ে ফিরে আসেন তিনি নিশ্চয়ই হার্ট অ্যাটাক করবেন।

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে জেলে পাঠিয়ে সরকার খুব আনন্দে আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শত বাধা বিপদকে উপেক্ষা করে, শত ঝুঁকি মাথায় নিয়ে যিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য মিছিল করে যান। সেই মানুষটিকে (রুহুল কবির রিজভী) জেলের ভেতরে ঢুকিয়ে সরকার মনে করছে বাঁচা গেছে! কিন্তু সরকার জানে না, মতিহারের সবুজ চত্বরে রক্ত ঝরানো বুলেট রিজভী আহমেদের গতিকে ম্লান করতে পারে নাই। সেই রিজভী আহমেদকে হয়তো চার দেওয়ালে বন্দি করা যাবে কিন্তু তার লড়াইকে বন্দি করা যাবে না।

বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করে দিচ্ছে বিএনপি—এমন মন্তব্য করে হাবিব-উন নবী খান সোহেল বলেন, সারা বাংলাদেশে বিএনপির কর্মসূচি চলছে। আমাদের পদযাত্রার কর্মসূচি সারা বাংলাদেশে চলছে। সঙ্গে আরও একটি কর্মসূচি চলছে শান্তি সমাবেশ। আহারে শান্তি, সারা পৃথিবীর মানুষ যে শব্দটির পিছনে ছুটে বেড়ায়। কিন্তু বাংলাদেশে দুই জন মানুষের জন্য সেই শান্তি শব্দটি অশান্তির উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ পুরনো দল। তবে একদিক দিয়ে ভালোই লাগে যে, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি এখন নির্ধারণ করে দিচ্ছে বিএনপি। আমরা যখনই কোনো কর্মসূচি দেই তার পাশাপাশি ওই এলাকার যত গুন্ডা-মাস্তান বাহিনী আছে সবাইকে একত্রিত করে শেখ হাসিনা নাম দিয়েছেন শান্তি সমাবেশ।

চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানকে ’৭২ সালে গুম করার মাধ্যমে দেশে গুমের রাজনীতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ—এমন মন্তব্য করেন হাবিব-উন নবী সোহেল।

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। সভা সঞ্চালনা করেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।