ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমি চাঁদাবাজি করেছি এমন কথা কেউ বলতে পারবে না: প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
আমি চাঁদাবাজি করেছি এমন কথা কেউ বলতে পারবে না: প্রতিমন্ত্রী

বরিশাল: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, আমি কোথাও চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী করেছি এমন কথা কেউ বলতে পারবেন না। আমি সততার সাথে আপনাদের সেবা করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা সততার সাথে পালন করতে চাই। আর আমরা সবাই মিলে যাতে বরিশাল শহরে শান্তিতে বসবাস করতে পারি সেটাই আমার লক্ষ্য।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ প্রকল্প হতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৪৩ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক পর্যায়ের নবম ও দশম শ্রেণির ২৬৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণের সময় বরিশালের উন্নয়ন হয়েছে এরপর আর কোনো উন্নয়নই হয়নি। রাস্তাঘাট ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। শান্তি-শৃঙ্খলা ঠিক ছিল না, ঘরবাড়ি কেউ বানাতে পারেনি, ট্যাক্স বেড়ে গিয়েছিল। অনেক অসুবিধার মধ্যে সবার মুখে একটা মলিনতার ভাব ছিল। কেউ ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারতো না। শেখ হাসিনাকে আমি অনুরোধ জানিয়েছিলাম, সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট ছেলে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে (খোকন সেরনিয়াবাত) মনোনয়ন দিয়েছেন।

আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই ৫ বছরে যে ভোগান্তি হয়েছে সেটা আর হবে না। কারণ, খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “তুমি যাও, নির্বাচিত হলে আমরা বরিশালকে তিলোত্তমা শহর বানাবো। ” আমি আপনাদের কথা দিতে পারি আমি এবং খোকন সেরনিয়াবাত মিলে বরিশালকে সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করবো। আজ বরিশালের থেকে পটুয়াখালী শহর নাকি অনেক সুন্দর। আমার লজ্জা লাগছে যে বিভাগীয় শহর বরিশালের কথা বলে না,বলে পটুয়াখালীর কথা।

তিনি আরও বলেন, বরিশালে কোনো সন্ত্রাসী থাকবে না, চাঁদাবাজ থাকবে না। খোকন সেরনিয়াবাত নির্বাচিত হওয়ার দুই মাসের ভেতরে বরিশাল শহরের অলি-গলিসহ সকল রাস্তা কার্পেটিং করে দেব। তাই দয়া করে উনাকে নির্বাচিত করুন, অন্য কেউ হলে বরিশালের উন্নয়ন হবে না। যেরকম আছে সেরকমই গালে হাত দিয়ে থাকতে হবে। আপনারা ঘুরে দাঁড়াতে চাইলে খোকন সেরনিয়াবাতকে নির্বাচিত করুন।   আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, সে কাজ না করলে ডিসেম্বরে মাসের নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়েন না। আমি কথা দিতে পারি সে ভালো কাজ করবে, তাকে দিয়ে ভালো কাজ করাবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কিছুর পরও বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে নেই, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। গত সপ্তাহেও বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের ৫১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে পাশ করিয়েছি। যেভাবে করে চরবাড়িয়া এলাকায় নদীর ভাঙন রক্ষায় বাধ করে দেওয়া হয়েছে, বসার বেঞ্চ করা হয়েছে, লাইট বসানো হয়েছে, একইভাবে চরকাউয়ায় ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য প্রতিরক্ষা বাঁধ করবো।

ট্যাব পাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছেন। পদ্মা সেতু-পায়রা বন্দরের কারণে এ অঞ্চলে দেশি-বিদেশি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে কর্মসংস্থানের কোনো অভাব হবে না, আর সেখানে কাজ করতে হলে সবাইকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ভবিষ্যতে তোমরা বড় বড় জায়গায় যাবে এবং দেশের জন্য সুনাম অর্জন করবে সেই কামনা করছি। ট্যাব দিয়ে পড়াশুনার বিষয়ে ভালো জ্ঞান অর্জনে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) খোন্দকার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনদীপ ঘরাই, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন, বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্ম পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।