ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারের লুটপাটের কারণেই অভাবনীয় লোডশেডিং: অনিন্দ্য ইসলাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
সরকারের লুটপাটের কারণেই অভাবনীয় লোডশেডিং: অনিন্দ্য ইসলাম

যশোর: বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং, বারবার মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎখাতে নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি করেছে যশোর জেলা বিএনপি। সেই সঙ্গে যশোর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) তত্ত্বাবধায়ক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) শহরতলীর চাচড়ায় ওজোপাডিকো অফিসের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বিএনপি নেতারা
বলেন, জৈষ্ঠ্যের খরতাপে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এর ওপর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে মানুষ এক ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দিন পার করছেন। গ্রামের মানুষ চাহিদার তুলনায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২ থেকে ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে। মফস্বল শহরগুলোতে রাতে ২ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। দিনেও অধিকাংশ সময় লোডশেডিংয়ে আচ্ছন্ন থাকে। প্রচণ্ড গরম ও যানবাহনের ধোয়ায় শহর যেন গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। মানুষের বসতবাড়িতে সীমাহীন দুর্ভোগের পাশাপাশি বিদ্যুতের অভাবে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ও পর্যায়ক্রমে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনকে প্রাইভেট কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। তাদের বিপুল অর্থবিত্তের মালিক বানানোর জন্য এসব প্রকল্প স্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে কেউ সিঙ্গাপুরে গিয়ে সর্বোচ্চ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। অথচ জনগণের পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা আদায় করা হচ্ছে কেবলমাত্র এই খাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য । বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করা হচ্ছে। এই লুটপাটের কারণেই অভাবনীয় লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতির জন্য বর্তমান সরকারের গণবিরোধী নীতিই দায়ী। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটকে বৈধ করতেই ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার সবসময় বড় গলায় উদ্বৃত্ত বিদ্যুতের কথা বলে এসেছে। পরিবেশ ও মানুষের অস্তিত্বের কথা বিবেচনা না করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির নামে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তাহলে আজ কেন এতো অসহনীয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়? আসলে এই সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে চলেছে দুর্নীতির মহা তেলেসমাতি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মনে করে বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের সুযোগ দিয়ে আওয়ামী সরকার ফৌজদারী অপরাধ করেছে। সেজন্য এই রেন্টাল-কুইক রেন্টালের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।

যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

পরে তারা অবিলম্বে অবর্ণনীয় লোডশেডিং বন্ধ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
ইউজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।