ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে সেন্ট মার্টিন ইস্যু: গণসংহতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে সেন্ট মার্টিন ইস্যু: গণসংহতি

ঢাকা: জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার সেন্ট মার্টিন ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এরা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে সবার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং এখন দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও খেলায় মত্ত।

মূলত দেশব্যাপী যখন সরকার পতনের আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছে ও সরকারের আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রায় শেষ ঠিক তখনই সেন্ট মার্টিন ইস্যু সামনে এলো।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সেন্ট মার্টিন ইস্যুতে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কাউকে লিজ দিলে ক্ষমতায় থাকতে অসুবিধা নেই। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না। ’ এর পূর্বে সরকারি জোটের আরও দুজন নেতা যথাক্রমে রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুও সেন্ট মার্টিন বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে তারা এই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।

গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা আরও বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পদে আসীন থেকে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য এবং এ ধরনের অনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক। যদি সত্যি সত্যিই কেউ সেন্ট মার্টিন চেয়ে থাকে, তাহলে সেটা সরকারের স্পষ্ট করে বলা দরকার, জনগণকে জানানো দরকার কে কবে তা চেয়েছে। এর আগেও ভারতে গ্যাস রপ্তানি নিয়ে এ ধরনের বক্তব্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে দেখেছি, যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয়নি। ফলে এই বক্তব্যকেও সেই একই ধারায় বিবেচনা করা যেতে পারে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা।

নেতারা বলেন, দেশের জনগণ যখন তাদের হারানো ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ক্রমাগত ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, তখন তাকে বিভ্রান্ত করাই এ ধরনের বক্তব্যের লক্ষ্য বলে সহজেই অনুমান করা যায়। দেশকে যদি কেউ বিপদের ভেতরে ফেলে, দেশের সার্বভৌমত্ব যদি কেউ বিপন্ন করে তাহলে সেটা করছে বর্তমান সরকার।

এসব পাতা ফাঁদে জনগণের আন্দোলন পা দেবে না উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সকল বিভ্রান্তিকে পায়ে ঠেলে এই দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট এ সরকারের পতন করার মধ্য দিয়ে সকলের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করে সত্যিকার সার্বভৌম বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
পিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।