ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জে সংখ্যালঘু নেই, এখানে সব সমান: শামীম ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
নারায়ণগঞ্জে সংখ্যালঘু নেই, এখানে সব সমান: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে সংখ্যালঘু নেই, এখানে সব সমান বলে -মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ অত্যন্ত সুন্দর জায়গা।

বাংলাদেশে কোথাও এমনটা নেই, যেখানে রয়েছে পাশাপাশি কবরস্থান, শ্মশান ও খ্রিষ্টানদের কবরস্থান।

শুক্রবার (২৩ জুন) নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন রাজনীতিতে আসি তখন স্লোগান কী ছিল। তখন স্লোগান ছিল -‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো। ’ এখন বলতে হবে বীর বাঙালি ঐক্য গড়ো বাংলাদেশ রক্ষা করো।

শামীম ওসমান বলেন, আপনার বিশ্বাস আপনার, আমরটা আমার। আপনি আপনারটা করবেন, আমি আমারটা করব। সব ধর্মেই বলা আছে। আল্লাহ ও তাদের প্রেরিত নেক বান্দার পরেই মা-বাবার স্থান। সেই প্রকৃত ভালো মানুষ যে তার মা-বাবাকে সেবা করে। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি অনুরোধ করব, মায়ের দোয়া কখনও বিফলে যায় না। তাই আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই।

সুন্দর বাংলাদেশের জন্য আগে নিজের পরিবারকে সুন্দর করুন। সত্য আঘাতপ্রাপ্ত হয় কিন্তু সত্যের জয় হবেই। আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। এখনও এখানে ওই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুটো দল। একটা আওয়ামী লীগ আরেকটা এন্টি আওয়ামী লীগ। আমরা শেখ হাসিনার কাছে চাইতেই আছি। আমরা কী দিয়েছি তাকে। তার বাবা বলেছেন আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। পাকিস্তানিরা তাকে মারতে সাহস পায়নি। তাকে মেরেছি আমরা। তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য এসেছিলাম। আজ যদি শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা বেঁচে না থাকতেন -তাহলে কী হত?।

শামীম ওসমান বলেন, আজ থেকে ২২ বছর আগের ঘটনা। ২০০১ সালে আড়াইহাজারে একটা নির্বাচনী সভায় গিয়েছিলাম। প্রচণ্ড গরম তখন। শেখ হাসিনা এলেন, বক্তব্য দিলেন। আমার সারা শরীর তখন ঘামে ভেজা। তখন তাকে গোপালগঞ্জে অলরেডি হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি কঠোর নিরাপত্তায় ছিলেন। তাকে বিদায় দিলাম। কিছুক্ষণ পর এসএসএফ এসে বলল আপনাকে প্রধানমন্ত্রী ডাকছে। আমি গেলাম। তিনি বললেন, শামীম আমার সঙ্গে যাবি, চান্দিনায় প্রোগ্রাম। আমি গেলাম তার সঙ্গে। হেলিকপ্টারে গেলাম সেখানে গ্রামের মানুষ। হাত তুলে ডাকছে হাসিনা হাসিনা বলে। প্রধানমন্ত্রী ঘুরে তাদের দিকে যেতে লাগলেন। তখন এসএসএফ তাকে বাধা দিল, তিনি বললেন এরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ওরা আমাকে মারবে না। তিনি গিয়ে তাদের বুকে জড়িয়ে ধরছেন। তিনি দেখলাম চোখ বন্ধ করে তাদের দোয়া নিলেন। হেলিকপ্টারে উঠে দেখলাম তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। কিন্তু তিনি হাসছেন। আমি বললাম- আপা কী হয়েছে। তিনি বললেন, ওরা যখন আমাকে জড়িয়ে ধরছিল, আমার মনে হচ্ছিল আমার মা-বাবা আমার জন্য দোয়া করছে।

নারায়ণগঞ্জে একটা দেবোত্তর সম্পত্তি আছে। আমি শুধু বলব আদালতে এরা বিচারাধীন। আদালত অবশ্যই ন্যায় বিচার করবে। আমার অনুরোধ নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা।

তিনি আরও বলেন, আমি সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। সিটি করপোরেশনের মানুষ ট্যাক্স দেয়। ঢাকা সিটি করপোরেশন যদি ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করতে পারে, আপনারাও করবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এমআরপি/এসএম/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।