ঢাকা: ডিবি অফিস এখন ভাতের হোটেলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আমরা অনেক ঘটনা জানি। কখন কী ষড়যন্ত্র হয়, কাকে কোথায় ডেকে নিয়ে আসা হয়, কত কিছু করা হয়। আমাদের নেতাদের ধরে উধাও করা হয়। চার-পাঁচ দিন পর বলা হয়, গোয়েন্দা হেফাজতে আছেন। কয়েকদিন পর থানায় দেওয়া হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করার যেন কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, আজ অনেকেই বলছেন, মানুষ যখন অভিযোগ নিয়ে ডিবি অফিসে যায়, সেখানে নানা ষড়যন্ত্র করা হয়। আমরা তো জানি ডিবি অফিস বিরোধী দলের জন্য একটি আতঙ্কের ঘর। অনেক আয়নাঘর সেখানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন গোয়েন্দা দপ্তর হয়েছে ভাতের হোটেল। বিভ্রান্তি তৈরি করে সেখানে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অপদস্থ করার জন্য শুধু মিথ্যা মামলা, জুলুম-নির্যাতনই করা হচ্ছে না, অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র সেখানে করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরকে সঙ্গে নিয়ে খাবার খেলেন ডিবিপ্রধান হারুন
রিজভী বলেন, আমার-আপনার সন্তানের নিরাপত্তার জন্য সরকারের পতন ঘটাতে হবে। না হলে এই দেশে আর কেউ কথা বলতে পারবে না। চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের জনগণ বন্দি হয়ে যাবে শেখ হাসিনার কাছে।
তিনি বলেন, এবার শেখ হাসিনা যে নির্বাচন দেবেন, আমাদের চুপ থাকলে হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার নির্বাচন আমরা হতে দেবো না, দেবো না, দেবো না, যতক্ষণ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা না হয়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করেন। নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আমরা করবে, এটিই আমাদের অঙ্গীকার।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৮০০ কোটি টাকা নাই হয়ে গেল, পাচার হয়ে গেল। তখন যিনি গভর্নর ছিলেন ড. আতিউর রহমান, তার দায় নেই? সেখানে তার তো দায় আছে। শেখ হাসিনা তাকে পুরস্কৃত করেছেন। কী করেছেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। অর্থাৎ চোরদের মর্যাদা দেন কে? শেখ হাসিনা।
রাশেদ খান মেননের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কেউ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বললে আপনি রেজিম চেঞ্জের ষড়যন্ত্র দেখতে পান। আপনারা বিনা ভোটের এমপি, নিশি রাতের এমপি। কদিন আগে আপনি নিজেই বলেছিলেন ১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং সঞ্চালনা করেন মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২৩
টিএ/আরএইচ