ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হত্যার রাজনীতির সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সহাবস্থানের সুযোগ আছে কি, প্রশ্ন কাদেরের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
হত্যার রাজনীতির সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সহাবস্থানের সুযোগ আছে কি, প্রশ্ন কাদেরের ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, এই হত্যার রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সহাবস্থানের কোনো সুযোগ আছে কি না? 

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বনানী কবরস্থানে নারী নেত্রী আইভি রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি  পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

বাংলাদেশে ৭৫ থেকে শুরু হওয়া হত্যাকাণ্ড, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতা চলে আসছে ৷ হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মূল টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং আওয়ামী লীগ ৷ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করা, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে ৭৫-এর ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এক সুতায় গাঁথা।  

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের ইতিহাস কত নির্মম। পার্লামেন্টে তৎকালীন সময়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রসঙ্গটি তুলছিলেন, তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন, ওনাকে (শেখ হাসিনা) আবার কে মারতে যাবে, উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছেন। একুশে আগস্টের ঘটনা নিয়ে এই উপহাস করেছিলেন তিনি। জজ মিয়ার নাটক আরো নির্মম, আরেক প্রহসন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যারা আজকে মায়া কান্না করে তাদের রাজনীতি হচ্ছে ষড়যন্ত্র ও হত্যার।  

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির সমাবেশে জনগণের নয়, এটি নেতাকর্মীদের আন্দোলন।

তিনি বলেন, এ দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোনো পরিস্থিতি বিরাজমান নেই। আন্দোলনের জন্য দুটি বিষয় লাগে। একটা অবজেক্টিভ আরেকটা সাবজেক্টিভ। তাদের (বিএনপি) অবজেক্টিভ কন্ডিশনও নেই, সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন নেই। বিএনপির আন্দোলনে তাদের নেতারাই হতাশ। জনগণ ছাড়া গণ আন্দোলন কেমন করে হবে! 

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আইভি রহমান গুরুতর আহত হন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৪ আগস্ট তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩ 
এসকে/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।