ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ওবায়দুল কাদেরকে ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম আব্দুস সালামের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
ওবায়দুল কাদেরকে ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম আব্দুস সালামের

নারায়ণগঞ্জ: ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, হাসিনার একটা সেক্রিটারি আছে। এ দলটা হলো ভুয়া।

সকালে এক কথা বিকেলে আরেক কথা বলে। ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুর গিয়েছিল চিকিৎসা করাতে। এসে বিএনপিকে ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আমি ওবায়দুল কাদেরকে ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলাম। পুলিশ র‍্যাব ছাড়া কোথায় যুদ্ধ করবেন বলেন। আমরা খেলতে রাজি আছি।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন গলিতে বিএনপির একদফা দাবিতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফতুল্লার সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, এখনও সময় আছে৷ হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার কাছে হাত পা ধরে মাফ চান। তিনি মাফ করলে করতেও পারেন। খালেদা জিয়ার পা ধরে বলেন, আমি তত্বাবধায়ক সরকার দিতে রাজি। বলেন, আমাকে যেন গ্রেপ্তার হতে না হয়। নয়ত আওয়ামী লীগের চির বিদায় হবে নারায়ণগঞ্জ থেকে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের আর হাসান মাহমুদ। ওরা পুলিশ র‍্যাবকে বলে, তোমরা আমাদের ছেড়ে দিলে জনগণ আমাদের মারবে। তাই ওরা র‍্যাব ও পুলিশ দিয়ে খেলতে চায়। সেই খেলা তো ফেয়ার খেলা হবে না৷ এত যখন শক্তি মন্ত্রীত্ব বাদ দিন। পাবলিক হয়ে আসুন। আপনিই বলেছেন ক্ষমতা না থাকলে এক রাতেই আওয়ামী লীগ শেষ। তার ভাই মীর্জা কাদের বলেছে ওবায়দুল কাদের ও আওয়ামী লীগ ভালো নির্বাচন হলে পালানোর দরজা খুঁজে পাবে না।

সাত খুনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আপনারা কী সাত খুন ভুলে গেছেন। এ হাসিনার মন্ত্রী মায়া বড় বড় কথা বলে। তার জামাই তারেক সাইদের নেতৃত্বে যেভাবে খুন করেছেন এ খুনের আলামত কী শেষ হয়ে গেছে। এ এলাকায় আমাদের বিএনপির কাউন্সিলরকে অন্যায় ভাবে এ মামলায় ফাঁসিয়েছিলেন। সে বেকসুর খালাস পেয়েছে আর তার ফাঁসির দড়ির সামনে ঝুলছে।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে এ সরকার দুই কোটি টাকার সাজানো মামলা দিয়ে তাকে আটকে রেখেছেন। তিনি মৃত্যু পথযাত্রী। এ সরকার তার চিকিৎসা করাতে দিচ্ছে না। তারা নাকি মানবতার দল।

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাস করে না। লগি বৈঠা দিয়ে নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে মেরে তারা নৃত্য করেছিল। তারা নাকি মানবতার দল। আওয়ামী লীগ হলো একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি গণতন্ত্র ভালেঅবাসে বলেই বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে।

আমরা একটি ট্রায়াল দিয়েছিলাম। সেদিন পুলিশ র‍্যাব বিজিবি চাপাতি লীগ হোন্ডা বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। চাপাতি, গুন্ডা বাহিনীকে ফেস করতে রাজি আছি৷ এখনও সময় আছে। আওয়ামী লীগ যদি জোর করে নির্বাচন করতে চায় পুলিশকে বলব আপনারা জনগণের টাকায় বেতন নেন, জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না।

আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। এর মানে এই নয় যে, আপনারা পুলশি র‍্যাব ব্যবহার করে নির্বাচন করবেন আর আমরা ডুগডুগি বাজাবো। আমরা রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে এ কালো শক্তিকে পরাজিত করবো।

তিনি বলেন, জনগণের পেটে ভাত নেই। ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে বলেছিল। আজ গ্যাস বিদ্যুৎ পানি পাওয়া যায় না। আর ওরা বড় বড় কথা বলে। এ দেশকে যদি বাঁচাতে চান তাহলে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। আমরা লগি-বৈঠা নিয়ে নামবো না। তবে আজ নারায়ণগঞ্জবাসীকে বলব আগামীতে আমরা তারিখ দেব। সাইনবোর্ডে দিয়ে মানুষ শুধু হেঁটে হেঁটে ঢাকা শহরে ঢুকবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের টাকা খরচ করে বিদেশ ঘুরছে। খালেদা জিয়াকে দুই কোটি টাকার জন্য জেল দিয়েছেন। আপনি হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন। আপনার কত বছরের জেল হবে ভেবে দেখুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মঈন খান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু ও আজহারুল ইসলাম মান্নান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।