ফেনী: বিএনপি, জামায়াত ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ফেনীতে সড়কে সরব রয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে নাশকতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সড়ক অবরোধ করে ফেনী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে মহাসড়ক অবরোধ করে পৌর বিএনপি।
এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এছাড়াও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী ও যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমের নেতৃত্বে পিকেটিং করছে বিএনপি ছাত্রদল নেতারা। তারা গ্রেপ্তার এড়াতে সতর্কতার সহিত পিকেটিং করছে।
বিএনপির ঘাঁটিখ্যাত রামপুরের পুলিশের প্রবেশ ঠেকাতে রাস্তায় ইট এবং বাঁশ দিয়ে রাস্তায় অবরোধ করে রেখেছে। ফেনীতে এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অবরোধে ফেনীর সড়কের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশের সাতটি মোবাইল টিম র্যাবের দুটি, হাইওয়ে পুলিশের দুটি বিজিবির দুটিসহ মোট ১৩টি টিম টহল দিচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে মাঠে রয়েছে।
নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী জানান, মামলা হামলা এবং গ্রেপ্তার দিয়ে তাদের আন্দোলন প্রতিহত করা যাবে না। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবরোধের সহায়তা করছে। তারা দোকানপাট খুলছে না ও রাস্তায় গাড়ি বের করছে না।
ফেনী জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, অবরোধে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জেলায় এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ১শ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৯ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা একদিনের হরতালে সহিংসতার ঘটনায় জেলায় আটটি মামলায় প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২৩
এসএইচডি/এএটি