ঢাকা: উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষায় ৫ দফা সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
রোববার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির পক্ষে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় নাগরিক প্রতিনিধিদের সুপারিশ গ্রহণ করেন এবং তা যথাযথভাবে ইশতেহারে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, খুলনা-সাতক্ষীরাসহ পুরো উপকূলীয় অঞ্চল এখনও অবহেলিত। অতীতে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে ওই অঞ্চলের উন্নয়নে বেশকিছু ঘোষণা থাকলেও সরকার গঠন করতে না পারায় তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। তবে নদ-নদী রক্ষা, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সুপেয় পানি ব্যবস্থাসহ অন্যান্য দাবি আদায়ে সংসদের ভেতরে-বাইরে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। আগামীতেও সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওয়াটারকিপার্স-বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউণ্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সোহাগ।
নাগরিক প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত সুপারিশে বলা হয়, টেকসই উন্নয়নের জন্য দ্রুত উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে। উপকূলে নিরাপদ খাবার পানির স্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় এলাকায় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আদলে ‘একটি বাড়ি একটি শেল্টার হোম’, কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও উপকূলে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে ওই জনপদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে প্রতি অর্থ-বছরে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
টিএ/জেএইচ