ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের গুণ্ডারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বাসা লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহজাহানপুরের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন আব্বাস পত্নী।
তিনি বলেন, সকালে একটি মোটরসাইকেলে কালো ড্রেস পরা, মাথায় কালো হেলমেট পরা এক ব্যক্তি গেটের সামনে থেকে বাসায় ককটেল ছুড়ে মারে। এসময় বিকট শব্দ হয়। এর আগেও র্যাবের সদস্যরা আমার বাসায় হামলা চালায়। আমরা পুলিশকে কল করি, তারা দ্রুত আসলেও নাশকতাকারী কাউকে ধরার কোনো চেষ্টা করেনি।
আফরোজা আব্বাস বলেন, এখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। তারা মির্জা আব্বাসকে মেরে ফেলতে চায়। কারণ মির্জা আব্বাস মারা গেলে মতিঝিল, পল্টন এলাকা তাদের আওতায় থাকবে কিন্তু আব্বাস তো জেলে। আজ আমার পরিবারের লোকজন বা বাসার স্টাফরা মারা যেতে পারত। এমন নাশকতার ঘটনায় মামলা করতে গেলে থানা কোর্ট মামলা নেয় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের জীবনে নিরাপত্তা চাই। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা। আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
সকালে এক বিবৃতিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, মির্জা আব্বাসের বাসায় একটি ককটেল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়, অপর একটি ককটেল অবিস্ফোরিত থাকে। এ সময় পুরো বাড়ি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তিনি জানান, মুহূর্তের মধ্যে বাসায় অবস্থান করা মির্জা আব্বাসের নিরাপত্তা কর্মীরা দৌড়ে গেলে মোটরসাইকেলটি নিরাপদে চলে যায়।
এ সময় নিরাপত্তা কর্মীরা বাসার গেটের সামনে গিয়ে ৬ থেকে ৮ জন পুলিশকে বহন করা ৩ থেকে ৪টি মোটরসাইকেল অবস্থান করতে দেখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
টিএ/এমএম