ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার চেয়ে বিএসপিপির মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার চেয়ে বিএসপিপির মানববন্ধন বিএসপিপির মানববন্ধন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বর্তমান সরকার অন্যায়ভাবে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করছে অভিযোগ করে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী বলেন, আমরা আজ ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে এখানে একত্রিত হয়েছি। আমরা দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি।

তিনি বলেন, এ সরকার একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব। দেশের মানুষের জন্য ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করব। যতদিন না পর্যন্ত বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ সরকার ভয়ের রাজত্ব কায়েম করে বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে একটি একতরফার নির্বাচন করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দিবাস্বপ্ন কখনো সফল হবে না। গুম-খুন, টিয়ার গ্যাস উপেক্ষা করে পেশাজীবীসহ দেশের মানুষ আবারও রাস্তায় নেমে এসেছে।  

তিনি বলেন, সরকার একতরফা নির্বাচন থেকে সরে আসবে, মানুষ এটিই প্রত্যাশা করে। তা না হলে কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়, তা দেশের মানুষ ১৯৭১, ১৯৯০ সালে দেখিয়েছে। প্রয়োজন হলে দেশের মানুষ আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আপনাদের (সরকার) ক্ষমতার মসনদ থেকে টেনে নামাবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।

বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে পেশাজীবীরা রাস্তায় নেমেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছেড়ে যাবে না।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, ভোটাধিকার নেই, আইনের শাসন নেই। আমরা আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমার সাংবিধানিক অধিকার এবং ভোটাধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে কারাগারে নিচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে রায় দিচ্ছে। এমনকি মৃত এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও রায় দেওয়া হচ্ছে। আইনের শাসন এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, এমন একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে যার সাথে জনগণের কোন কোন সম্পর্ক নেই। যে ধরনের নির্বাচনী ব্যবস্থা করেছেন; স্বতন্ত্র দিচ্ছেন, ডামি দিচ্ছেন, এখন আবার আপনার সঙ্গে সবাইকে নৌকায় ওঠানোর পাঁয়তারা করছেন। আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাই। আপনি পৃথিবীর গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছেন। অসম্ভব একটি কাজ করেছেন।

এ সময় বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহবুব আহমেদ খোকন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হারুন আল রশিদ, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. দাবিরুল ইসলামসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।