ঢাকা: সরকার যতই গলাবাজি করুক না কেন- এতে আর কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিলের আগের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মান্না বলেন, এই সরকার এবং সরকারি দল অন্যায়ের সব সীমা অতিক্রম করেছে। আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আরও জনগণকে নিয়ে বড় আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার যতই গলাবাজি করুক না কেন- এতে আর কোনো লাভ হবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কারাবন্দি জেল থেকে বেরিয়ে আসবে। আবার আন্দোলন জোরদার হবে। সরকারের পতন হবে। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। জনগণের সরকার আসবে।
এ সময় চলমান আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণকে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে মানুষ আজ জর্জরিত। সরকারের সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মাধ্যমে মানুষের রক্ত চুষে নিচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নিজে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করবেন বলেছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক সারা বিশ্বে পরিচিত। দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিলে তিলে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিতাড়িত করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠানগুলোয় সরকারপন্থি গুণ্ডাদের শকুনের থাবা পড়েছে।
মান্না বলেন, বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে দারিদ্র্য বিমোচনে ড. ইউনূসের যে অবদান তা বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অথচ নিজের দেশে তিনি অবৈধ কর্তৃত্ববাদী সরকার দ্বারা চরম নিগৃহীত হচ্ছেন। তার গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার অনেকদিন থেকেই। আগেই গ্রামীণ ব্যাংক দখল করেছে, এখন বাকী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখল করে সেগুলোও ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। এতে সারা দেশে সেবা পাওয়া এই এক কোটি দরিদ্র মানুষও অসহায় হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মত সম্মানিত, সারা বিশ্বে সমাদৃত, বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিকে অসম্মান করে শেখ হাসিনা সরকার তাদের আসল চেহারা আরেকবার উন্মোচন করল।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা হাসনাত কাইয়ূম, শহিদুল্লাহ কায়সার, কামাল উদ্দিন বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
টিএ/এসআইএ