ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণহত্যাকারী হাসিনা ও আ. লীগের কোনো ক্ষমা নেই: ফখরুল 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
গণহত্যাকারী হাসিনা ও আ. লীগের কোনো ক্ষমা নেই: ফখরুল 

ঢাকা: স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণহত্যার কোনো ক্ষমা হতে পারে না। এই জায়গায় আমাদের খুব শক্তভাবে থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

মির্জা ফখরুল বলেন, বিভিন্ন ডামাডোলে আমরা যেন ভুলে না যাই, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণহত্যা করেছে। এখানে কোনো ক্ষমা নেই, গণহত্যার কোনো ক্ষমা হতে পারে না। ওই জায়গাতে আমাদের খুব শক্তভাবে থাকতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার পর অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রথম যে দলটি দাঁড়িয়েছিল সেটি হলো জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। প্রথম যিনি প্রতিবাদ করেছেন তিনি হলেন আ স ম আব্দুর রব।  

রাষ্ট্রের কাঠামো পরিবর্তনের কথা অনস্বীকার্য বলায় জেএসডিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে ফখরুল বলেন, বর্তমান সময়টা খুব সতর্কতার সঙ্গে অতিক্রম করতে হবে। ধৈর্য্য ধরে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে একটাই দায়িত্ব দিয়েছি, ভয়াবহ যে জঞ্জাল সেটা দূর করে অর্থবহ একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করার। রাষ্ট্র সংস্কারের দফা আমরা ৩১ দফায় দিয়েছি। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কোনো সংস্কার টেকসই হয় না। জনগণের যদি কোনো সমর্থন না থাকে, তবে সে সংস্কার কোনোভাবেই সাস্টেইনেবল হয় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি কোনো বিপ্লবী রাজনৈতিক দল নয়, এটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। ১৯৪৭ পর থেকে অর্থাৎ পাকিস্তান আমল থেকে এদেশে কোনোদিন গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আস্থার জায়গা থেকে বলতে পারি, ড. ইউনূসের সরকার সফল হবে। তিনি সমাদৃত। সচেতন হয়ে আপনারা (উপদেষ্টারা) কাজ কাজ করবেন। আমরা চিন্তিত তখনই হই, আমাদের তখনই খটকা লাগে, উদ্বিগ্ন হই, যখন সরকারে থাকা উপদেষ্টারা এমন কোনো কথা (বিভ্রান্তিমূলক) বলেন। এমন কোনো কিছু বলবেন না, এমন কাজ করবেন না যেটি জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, স্থানীয় সরকারে উপদেষ্টা বলেছেন যে, চার বছর নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হতে পারে; এসব কথা তার বলার কথা নয়। তারা তো কমিশন গঠন করেছেন, সেই কমিশন প্রস্তাব দেবে, জনগণ গ্রহণ করবে। তারপর না হয় সেটি চার বছর না পাঁচ বছর, সিদ্ধান্ত হবে। এমন কাজ তো হাসিনাও করতেন, কোনো কিছু তিনি ৪-৫ বছর আগেই বলতেন। এমন কোনো কথা কখনো আপনাদের সঠিক পথে নিয়ে যাবে না।  

তিনি বলেন, আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া জনগণকে কেউ উপস্থাপন করতে পারে না। নির্বাচন তাড়াতাড়ি হলেই রাষ্ট্র সংস্কার কাজ তাড়াতাড়ি করা যায়। ফাঁক থাকলেই স্বৈরাচারের দোসররা, যারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমাদের বিপ্লবের সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করতে, বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে; তারা সুযোগ পেয়ে যায় এবং পাচ্ছে।

বাজারের অবস্থা খুব ভালো নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের দাম চড়া। এ বিষয়ে আমাদের সবার কথা বলা দরকার। সব সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সবাই মিলে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। দেশকে একবারে ফোকলা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।