ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

হিন্দুত্ববাদী ভারত সংখ্যালঘু নির্যাতনের আঁতুড়ঘর: রিজভী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
হিন্দুত্ববাদী ভারত সংখ্যালঘু নির্যাতনের আঁতুড়ঘর: রিজভী  সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ভারত সংখ্যালঘু নির্যাতনের আঁতুড়ঘর— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর অসংখ্য নির্মমতার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সেসব নিয়ে দেশটির কোনো সংকোচ বা অনুশোচনা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়ে অযাচিত উদ্বেগ-উগ্রতা প্রকাশ করছে, যা সীমা অতিক্রম করেছে। ভারতের ভূমিকা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।

তিনি বলেন, ভারতে মুসলিম-খ্রিস্টানসহ নিম্নবর্ণের দলিত হিন্দু ও শিখসহ সংখ্যালঘুদের কোনো নিরাপত্তা নেই। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অস্থির। বিশ্ববাসী জানে হিন্দুত্ববাদী ভারত সংখ্যালঘু নির্যাতনের আঁতুড়ঘর। বিশ্বের এক নম্বর বর্ণবাদী দেশ হলো ভারত।  

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, এখন যুক্তিবিমুখ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও পশ্চাদপদ চিন্তাধারার রাজনীতিবিদরা ভারত শাসন করছে। ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন ভারতের সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে আশকারা দিচ্ছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী অপরাধপ্রবণ জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে। মিথ্যা বলাই এদের রাজনৈতিক ইশতেহার।  

তিনি বলেন, তাদের মিথ্যা বলে চ্যাঁচানোর রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ভারত কখনোই সহাবস্থানের লিটারেসি আয়ত্ত করেনি। যে কারণেই আশপাশের দেশগুলোর পরিচিত পরিপার্শ্বকে উপেক্ষা করে আগ্রাসনের পথ ধরে।

রিজভী বলেন, বিশ্বের সব দেশেই রয়েছে ধর্মের নামে অথবা বর্ণের নামে উগ্রবাদীদের দৌরাত্ম্য। তারা সব দেশ, জাতি-গোষ্ঠী,সব সমাজ, সব ধর্মের জন্য চরম ক্ষতিকারক। দুঃখের বিষয় হলো কিছু ধর্মীয় উগ্রবাদী ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ভারতের চরম সাম্প্রদায়িক সংগঠন বিজেপির প্রত্যক্ষ মদদে-উসকানিতে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।  

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান এই উগ্রবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করুন। ভারতের সাধারণ জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু চরম উগ্রবাদী বিজেপি যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিটি মানুষ এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান আত্মমর্যাদা রক্ষায় রুখে দাঁড়াবে। দুর্জয় এ বাংলাদেশ কখনো মাথা নোয়াবে না।  

রিজভী বলেন, কলকাতা, আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা এবং মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে সামনে হাঙ্গামা এবং ধারাবাহিক চরম উসকানিমূলক বক্তব্য ও সীমাহীন অপপ্রচারে বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হিংস্র-আগ্রাসী হস্তক্ষেপের ঘটনা ও ভারতের বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ছেলেরাও মিছিল নিয়ে বেরিয়ে এসেছে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদি লিনা, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিন মামুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
টিএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।