খুলনা: নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ খুলনা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি রণবীর বাড়ই সজলকে (৩৫) জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসানের আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে বাগেরহাটের মোংলা থানার খামেরডাঙ্গা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, হামলা, অস্ত্রসহ বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। শনিবার সজলকে আদালতে আনা হলে সেখানে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও ডিম ছুড়ে মারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৈমুর ইসলাম জানান, সজলকে শুক্রবার রাতে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে খালিশপুর থানা ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে সজলকে আদালতে আনা হলে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া শতাধিক ছাত্র জনতা তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার ধস্তাধস্তি হয়।
সেখানে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আল আমিন তালুকদার প্রিন্স বলেন, ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ভাইয়ের প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্রলীগ ক্যাডার সজল বাহিনীর নির্মম হামলার শিকার হয়েছিলাম। শুধু আমি না, এই শহরে অসংখ্য ছাত্রদল, যুবদল, বিএনপিকর্মী তার নির্যাতনের শিকার। আমরা এসব অপরাধীর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গত ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর খালিশপুর থানা ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলায় সজল এজাহারভুক্ত আসামি। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি অনুকূল হলে ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩০ আগস্ট খালিশপুর থানায় মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
এমআরএম/আরআইএস