ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে স্থানীয় রতনদিয়া বাজার একটি এনজিও অফিসে দলের বর্ধিত সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ঘোষপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা শুরু হয়। সভার এক পর্যায়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও ঘোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফাসহ তাদের লোকজনের ওপর হামলা করেন প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ঘোষপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ও তার লোকজন।
ঘোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা জানান, বর্ধিত সভা চলার সময় হঠাৎ করেই আমার ও আমাদের লোকদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করেন বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, লাঠি সোটা ও লোকজন নিয়ে আমার ১৬/১৭ জন কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলা করা হয়। এসময় গুরুত্বর আহত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তবিবুর রহমার, আওয়ামী লীগ নেতা আতিয়ার হোসেন, মো. জিল্লুর রহমানসহ অনেকে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ ও ঘোষপুর ইউপির চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এটা ঠিক নয়। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে গোলাম মোস্তাফা লোকজন নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা চালান। তিনি বলেন, এ হামলায়, আমার সমর্থক রফিক মোল্লা, আসাদ, হাবিব, মোতালেব, তোফাজ্জেল হোসেন আহত হয়েছেন।
সভায় উপস্থিত বোয়ালমালীর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল রেজা বলেন, সভা চলাকালে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাবনার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন হামলা করেন। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ করতে আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
আরকেবি/এএসআর