ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইসি এখনও সরকারের থাবায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৬
ইসি এখনও সরকারের থাবায় ড. আব্দুল মঈন খান

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের বলয় থেকে এখনও বের হতে পারেনি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ইসি সরকারের থাবার মধ্যে রয়েছে, তারা এ থেকে কখনও বের হতে পারবেও না।

তিনি বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই সরকার নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের দায়িত্ব ইসির হলেও বাস্তব অধিকার সরকারের।

বুধবার (০২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন। ৩টা ৩৫ মিনিটে নির্বাচন কমিশনে এসে বিএনপির প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসে, যা চলে প্রায় এক ঘণ্টা।

মঈন খান বলেন, পৌরসভার মতো ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অধিকাংশ আসনে বিজয় ছিনিয়ে নেবে সরকারি দল। তারা ৭০০ নিজে নেবে এবং ২০/৩০টি বিএনপিকে দেবে।

তিনি বলেন, এ অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় যে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন সৃষ্টি হবে, তার কবলে সরকারি দলও পড়বে। কমিশনের সদিচ্ছা কেবল সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই প্রমাণ হবে।

সাবেক এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, সংসদ নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে যদি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়, ২০০ পৌরসভায় সরকারি দল জেতে, তবে এতো বড় বড় ভবনে বড় নির্বাচন কমিশনার আর নির্বাচন কমিশন থাকার দরকার?

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসির সদিচ্ছা প্রকাশ করছে। কিন্তু এর ফলাফল শুন্য। কেননা, সরকার তাদের ক্ষমতাকে প্রয়োগ করতে দেয় না। ইসির সদিচ্ছা তখনই প্রমাণ হবে, যখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। গত পৌরসভা নির্বাচনে প্রায় ২০০ পৌরসভা সকরারি দল নিয়ে গেছে, এতে ইসির সদিচ্ছা প্রমাণ হয়নি। তাই ইসি অর্থবহ না হওয়া পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়গুলোই জানানো হয়েছে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, সিইসি সুষ্ঠু নির্বাচন করার চেষ্টা করছেন বলে বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু তারা আগেও এমন কথা বলেছিলেন।

এসময় তার সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এসএম আব্দুল হালিম, ক্যাপ্টেন সুজা উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২২ মার্চ ৭৩৪ ইউপিতে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ ৬৫১ ইউপিতে, তৃতীয় দফায় ২৩ এপ্রিল হবে ৭১১টিতে ও চতুর্থ দফায় ৭ মে ৭২৮টি ইউপিতে ভোট হবে। এছাড়া পঞ্চম দফায় ২৮ মে ৭১৪টি এবং ষষ্ঠ দফায় ৪ জুন ৬৬০টি ইউপির ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৬/আপডেট ১৮০৬
ইইউডি/আইএ

** সিইসি’র সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি’র প্রতিনিধি দল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।