হবিগঞ্জ: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ১০ আসামির মালপত্র ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় হবিগঞ্জে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আতাব উল্লাহ এ নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সকালে কিবরিয়া হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে মুফতি হান্নানসহ ১১ ও জামিনে থাকা আট আসামিকে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক ৩১ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
তবে এসময় জেলে থাকা সিলেটের মেয়র (সাময়িকভাবে বরখাস্ত) আরিফুল হক চৌধুরী আরিফ ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছসহ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
বাদীপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল হক চৌধুরী এবং আসামিপক্ষে আব্দুল হাই, মঞ্জুর উদ্দিন শাহীন ও সালেহ আহমেদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী রয়েছেন।
পিপি সিরাজুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
কিবরিয়া হত্যার বিস্ফোরক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল ৩৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৫ জানুয়ারি একই আদালত এদের মধ্যে ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন।
৩৫ আসামির মধ্যে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার আবু বকর ও চট্টগ্রামের ইউসুফের নাম-ঠিকানা ভুল থাকায় এবং ফরিদপুরের চৌরঙ্গীর মোড়ের আহসান উল্লাহ ২০০৬ সালে ভারতে পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে জনসভা শেষে সভাস্থল থেকে যাওয়ার সময় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন। হামলায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, হবিগঞ্জ-দুই (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬/আপডেট: ১৫১৯
এসআই