ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ড্যান্ডি ডায়িং মামলা

খালেদা-তারেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ৩ এপ্রিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৬
খালেদা-তারেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ৩ এপ্রিল

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে ড্যান্ডি ডায়িং ঋণখেলাপি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। আগামী ০৩ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

 

বিবাদীপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০১ মার্চ) নতুন এ দিন ধার্য করেন ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালত।

বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান সময়ের আবেদনে উল্লেখ করেন, মামলার ইস্যু গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। শুনানি ও আবেদনের নিষ্পত্তির জন্য সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হোক।

মামলার বাদী সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এবং ব্যাংকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম আদালতে হাজির ছিলেন।

গত ০২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে ইস্যু গঠন করেন আদালত।

সোনালী ব্যাংকের দায়ের করা ৪৫ কোটি টাকা খেলাপিঋণের এ মামলাটির বিবাদী ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। তিনি মারা যাওয়ায় গত বছরের ১৬ মার্চ আদালত তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভুক্ত করেন।

২০১৫ সালের ৮ মার্চ খালেদাসহ অন্যদের বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছিলেন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম।

আবেদনে তিনি বলেন, আরাফাত রহমান কোকো এ মামলার বিবাদী। তিনি মারা যাওয়ায় খেলাপিঋণ দেওয়ানি কর্মবিধি আইনের ২২নং আদেশের নিয়ম ৪ অনুসারে তার সম্পদের ওয়ারিশরা বিবাদীভুক্ত হবেন। তাই তার ওয়ারিশ হিসেবে খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়। আদালত গত বছরের ১৬ মার্চ তা মঞ্জুর করেন।

কোনো ছেলে না থাকায় বড় ভাই তারেক রহমানও কোকোর সম্পদের ওয়ারিশ। তবে তারেক রহমান এ মামলায় আগে থেকেই বিবাদী হওয়ায় তাকে নতুন করে বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়নি।

এ মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লি., প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।

মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়।

২০১৩ সালের ০২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

পরদিন ০৩ অক্টোবর মামলাটি মধ্যস্থতা করার জন্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেন বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোনো মধ্যস্থতা না হওয়ায় বিচারক মামলাটিতে ইস্যু গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু বিবাদীপক্ষে এ মামলাটির কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। ফলে মামলাটির ইস্যু গঠন পিছিয়ে যায়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করে।

২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃতফসিলিকরণও করা হয়।

কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো অর্থ প্রদান করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৬
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।