সিলেট: একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায় বহালের প্রতিবাদে বুধবার (০৯ মার্চ) দেশব্যাপী দলটির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। এ হরতালের কোনো প্রভাব নেই সিলেটে।
দিনের শুরুতে সকাল ৯টার দিকে নগরীর সুবিদবাজারে হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করে পিকেটিংয়ের চেষ্টা করে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সটকে পড়ে তারা।
এছাড়া, সকাল ১০টা পর্যন্ত মহানগরীর কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ।
তিনি বলেন, হরতালে নিরাপত্তায় নগরীর অলিগলি ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, হরতালে জেলার সব ক’টি উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সব স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি।
এদিকে, হরতালে দিনের শুরুতে নগরী ও আঞ্চলিক সড়কে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও আন্ত:জেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে সব ক’টি ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক।
একাত্তরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষনেতা মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর প্রতিবাদে বুধবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় জামায়াত।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৬
এনইউ/আরএইচএস/আরএইচ