ফরিদপুর: একাত্তরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা মীর কাসেম আলীর জন্য জামায়াতের ডাকা হরতালের কোনো প্রভাব নেই ফরিদপুরে।
বুধবার (০৯ মার্চ) সকাল থেকেই অন্যদিনের মতো শহরের মানুষ ঘর থেকে কাজে বের হয়েছেন।
শহরের কোথাও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনারও সংবাদ পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুর বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জুবায়ের জাকির জানিয়েছেন, ফরিদপুর থেকে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। উপজেলাগুলোর মধ্যে বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। দূরপাল্লার বাসও ছেড়ে যাচ্ছে সময়মতো।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীর জন্য এ হরতাল কেউ পালন করছেন না। আমরাও কোনো গাড়ি বন্ধ রাখিনি।
তবে জামায়াত-শিবিরের নাশকতা এড়াতে ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, আদালত পাড়াসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীর জন্য ডাকা বলেই জামায়াতের হরতাল পালন করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ফরিদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন। তিনি বলেন, একাত্তরের কোনো যুদ্ধাপরাধী-খুনির জন্য ফরিদপুরতো বটেই, দেশের কোনো সাধারণ মানুষই হরতাল পালন করছেন না, আগামীতেও করবেন না। ঘৃণাভরে এই হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছেন ফরিদপুরবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৬
আরকেবি/এএসআর