ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার খনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ৩০ নভেম্বর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
খালেদার খনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ৩০ নভেম্বর

ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি জন্য আগামি ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। খালেদা জিয়া ঢাকার বাইরে থাকায় তার পক্ষে চার্জ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করা হয়।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার ২য় বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগমের আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন।  

এ মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন।

কিন্তু মানবতা বিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে এ মামলার আসামি সংখ্যা ১১ জন।  

মামলার আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়া, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সদ্য প্রয়াত সাবেক কৃষি মন্ত্রী এমকে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী,  হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক  ‍মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।

১১ আসামির মধ্যে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ছাড়া বাকী আসামিরা জামিনে আছেন।  

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।  
ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির  বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।  

চার্জশিটভূক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মো. সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভুইয়া ও পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী আগে মারা যাওয়ায় তাদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র করলে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেন।  

দরপত্রগুলো কারিগরি ও আর্থিভাবে যাচাইয়ের জন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিমকে আহবায়ক করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।  
কমিটি শ্যান্ডং লুদি কনসোর্টিয়ামকে প্রথম, সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোর্টিয়ামকে দ্বিতীয় ও সিএমসি কনসোর্টিয়ামকে তৃতীয় করে কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।  

শ্যান্ডং লুদি কনসোর্টিয়াম চুক্তি বাস্তবায়ন না করায় সিএমসিকে একই মূল্যে ও শর্তে কাজটি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সিএমসি একই মূল্যে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করায় সময় স্বল্পতার অজুহাত দেখিয়ে আসামিরা পুনঃদরপত্র আহবান না করে সিএমসি’র দাখিল করা মূল্যে ও শর্তে তাদের কার্যাদেশ প্রদান  করেন।

মামলায় বাদি অভিযোগ করেন পুনঃদরপত্র আহবান না করে সিএমসি দাখিল করা মূ্ল্যে ও শর্তে তাদের কাজ দেওয়ায় সরকারের ১৫৮ কোটি, ৭১ লাখ ২৬ হাজার ৩৪৩ টাকা ক্ষতি হয় এবং আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে তা আত্মসাত করেন।  

ঘটনার সময় বেগম খালেদা জিয়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। তার জ্ঞাতসারেই পুনঃদরপত্র ছাড়ায় সিএমসিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয় মর্মে মামলায় উল্লেখ করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এমআই/ বিএস   

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।