ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গাংনীতে ৭ নভেম্বরের কর্মসূচিতে হামলা, আহত ১৫

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
গাংনীতে ৭ নভেম্বরের কর্মসূচিতে হামলা, আহত ১৫ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির সাত নভেম্বরের কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশসহ বিএনপির অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) সকালে গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সভা চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই রাউন্ড গুলি, তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা ও গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন।

আহতদের মধ্যে বিএনপি কর্মী সহড়াতলা গ্রামের বিল্লাল হোসেন, নওদাপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেন ও সাহারবাটি গ্রামের আব্দুস সাত্তারসহ আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির গাংনী উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে এ উপলক্ষে সকাল ৯টার দিকে কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দাল হক প্রমুখ।

আমজাদ হোসেন বলেন, মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কাছ থেকে অফিসের মধ্যে কর্মসূচি পালনের লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। বিএনপি অফিসের মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আলোচনা সভা শুরু হয়।

পরে যুবলীগের লোকজন এসে বিএনপি অফিসকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে হামলাকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা শহরের দিকে চলে যায়।

বিএনপি অফিসে আবারো আলোচনা শুরু হলে যুবলীগের ওই মিছিল থেকে ফের ইট পাটকেল ছোড়া হয়। এতে অফিসের ভেতরে বিএনপি নেতাকর্মীরাসহ মিডিয়া কর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। প্রায় ১৫ মিনিট অবরুদ্ধ হয়ে থাকার পর গাংনী থানা পুলিশের সহায়তায় সাংবাদিকরা বেরিয়ে আসেন।

বিএনপি নেতাকর্মীরা কর্মসূচি শেষ করে অফিস তালাবদ্ধ করে চলে যান। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল এসে তৃতীয় দফায় অফিসে ইটপাটকেল ছোড়ে।

গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন গুলি করার অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, যুবলীগের মিছিল থেকে নয়, বিএনপির কার্যালয় থেকে আমাদের উপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। আমাদের মিছিল যাওয়ার সময় বিএনপি অফিসের মধ্য থেকে ইটপাটকেল ছুড়েছে। একপর্যায়ে আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করতে পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
আরবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।