ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচিতে সবাইকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯
কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচিতে সবাইকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘ভোট ডাকাতির’ প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে উপস্থিত হওয়ার আহবান জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রন্টের সমন্বয়ক কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান ঐক্যফ্রন্ট নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম।

আব্দুস সালাম বলেন, যেহেতু ৩০ ডিসেম্বর দেশের জনগণ ভোট দিতে পারে নাই, সেজন্য দলমত নির্বিশেষে ঐক্যফ্রন্টের বাইরেও যারা আছেন, সবাইকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাই।

এ ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক ঘণ্টা কালো ব্যাজ ধারণের কর্মসূচি দিয়েছি।  

তিনি বলেন, আমরা চাই জনগণ ভোট দিতে না পারার যে ক্ষোভ সেটা প্রকাশের জন্য সবাই এ কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। সবাইকে বলবো বিকেল তিনটার মধ্যে সবাই যাতে সমবেত হয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। আর আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গণশুনানির কর্মসূচি আছে। ওই কর্মসূচির স্থান ও সময় পরে জানানো হবে।  

তিনি আরও বলেন, এ দুটি কর্মসূচি সার্থক করার  জন্য আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমাদের ফ্রন্টের যে দলগুলো আছে তাদের নিয়ে আলোচনা করেছি যে কীভাবে কর্মসূচি সফল করা যায়। নির্বাচনের প্রথম থেকেই বার বার বলে আসছিলাম নির্বাচনের মাঠে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। নির্বাচন কমিশনকে বার বার বলার পরও তারা ভ্রুক্ষেপ করেনি। তারপরও আমরা নির্বাচনে ছিলাম কারণ আমরা বোঝাতে চেয়েছি বিশ্ববাসী যাতে বিভ্রান্ত না হয়, যে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন চায় না।  

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরনো কথাই নতুনভাবে আসছে। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব না, সেটা ৩০ ডিসেম্বর প্রমাণ হয়েছে। এজন্যই এসব কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচিতে জাতীয় নেতারা আসবেন। দেশবাসীকে জানিয়ে দিলাম, এটা যাতে সফল হয়, এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।

সারাদেশে প্রার্থীদের মামলা করার কথা ছিল, এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন কি না জানতে চাইলে আব্দুস সালাম বলেন, না আমরা সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাইনি। প্রার্থীদের বলা হয়েছিল যারা মনে করেন, তারা মামলা করতে পারেন। এটা ম্যান্ডেটরি করে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনকে জায়েজ করার জন্য সরকারের প্রতিটা প্রতিষ্ঠানকে তারা দলীয়করণ করেছে। কোনো প্রতিষ্ঠানই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। পুলিশ, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে নাই।  

সারাদেশের কোথাও কোনো প্রার্থী মামলা করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় শেষ হলে পরে জানাতে পারবো। এ সময় তার পাশে থাকা গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, কয়েকজন করেছে। তখন আব্দুস সালাম বলেন, আরও ১১দিন বাকি আছে তারপর জানাবো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা কাজী আবুল বাশার, নবী উল্লাহ নবী, গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, রফিকুল ইসলাম পথিক, জেএসডির নেতা মমিনুল ইসলাম, বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহমদ বাদল, জনদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।