ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বিএনপি প্রতিকেন্দ্রে ৫শ’ সন্ত্রাসী রাখার পাঁয়তারা করছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
‘বিএনপি প্রতিকেন্দ্রে ৫শ’ সন্ত্রাসী রাখার পাঁয়তারা করছে’

ঢাকা: নির্বাচনে ভীতি ছড়াতে বিএনপি বহিরাগত দাগী আসামি ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ঢাকায় জড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

দলটি ঢাকার প্রতি কেন্দ্রে এই ধরনের ৫শ’ লোক রাখার পাঁয়তারা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।  

তবে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে কেন্দ্র পাহারায় থাকবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির স্বভাবসুলভ যে মিথ্যাচার, অপপ্রচার বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে, এসবের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের মাঠে জনগণের আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা বিভ্রান্ত নাবিকের মত আচরণ করছে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং তাদের মনোনীত প্রার্থীর কথাবার্তা এবং আচরণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের প্রত্যক্ষ উস্কানি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘ভোট রক্ষার নামে বিএনপি কেন্দ্রে কেন্দ্রে হট্টগোল করা এবং নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে। আমাদের কাছে খবর আছে, বিএনপি ঢাকার বাইরে থেকে প্রচুর বহিরাগতকে ঢাকায় এনে জড়ো করেছে। এদের মধ্যে দাগী আসামি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে তারা পাঁশতর মত লোক রাখার পাঁয়তারা করছে। ভোট রক্ষার নামে তাদের এই অভিসন্ধি আমরা জানতে পেরেছি। ’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তথ্য পাওয়ার পর আমরা সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে করে মানুষ ভোট দিতে পারে। নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতেও আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারা দেবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করবে। ’

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো ভোটের সুষ্টু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য, জনগণকে সহযোগিতা করার জন্য মাঠে থাকবো, কারও সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি করার জন্য নেতাকর্মীদের কোনো নির্দেশনা দেইনি। আমরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে কোনো রকম সংঘাত-সংঘর্ষে যাবো না। ’

ইভিএমের মাধ্যমে সরকার কারচুপি করার সুক্ষ্ম পথ বের করেছে- বিএনপির এ ধরনের  অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি মনে করি কারচুপি ঠেকানের কৌশল হিসেবে ইভিএম হচ্ছে উত্তম ব্যবস্থা। এটা তারা মনে করতে পারে কারণ, তারা এখনও এনালগে রয়ে গেছে। তারা এখনও ডিজিটালে আসতে পারেনি। তারা আধুনিক প্রযুক্তি পছন্দ করে না। কারণ তারা নিজেরাই সেই অন্ধকারে রয়ে গেছে। ’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এসকে/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।