ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতারা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতারা কবর জিয়ারত করছেন বিএনপি নেতারা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন দলটির কয়েকশ নেতা।

বুধবার (১২ আগস্ট) সকালে কোকোর ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত করতে যান বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী।

এ সময় বনানী কবরস্থানের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের ভেতরে যেতে বাধা দেন। পরে বিশেষ অনুরোধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন ও ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ফুল নিয়ে কবরস্থানে প্রবেশ করার অনুমতি পান।

তারা কবরস্থানে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। একইসঙ্গে কবরস্থানের বাইরে থাকা অসংখ্য নেতাকর্মী দোয়া ও মোনাজাত করেন।

কবর জিয়ারত শেষে বাইরে এসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা আজকে আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও এদেশের জনগণের ভোটে প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করতে এসেছিলাম। অনিবার্য কারণে আমরা সবাই যে আবেগ নিয়ে এসেছিলাম, সেই আবেগ নিয়ে সবাই কবরস্থানের পাশে গিয়ে দোয়া করতে পারিনি। আমরা আপনাদের পক্ষ থেকে তার আত্বার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেছি। আমরা শুনেছি আপনারাও বাইরে বসে মোনাজাত করেছেন। আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করেছি। আমরা দোয়া করেছি খুন, গুম ও নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের জন্য। আমরা যেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারি সেজন্য দোয়া করেছি।

বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকে একটি অপরাধ মনে করি। এই বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের একমাত্র উপায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক একটি সরকার ব্যবস্থা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না এমন একটি অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চালু থাকলে সেখানে জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকে না। ফলে এ রকম বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটে।

কবরস্থানের গেটের বাইরে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
এমএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।