ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা: পলক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২০
’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা: পলক জুনাইদ আহমেদ পলক

নাটোর: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  

তিনি বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করাসহ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করতেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।

শুধু তাই নয়,
১৫ আগষ্টস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা হত্যা করেছিল তাদের রাষ্ট্রীয় আশ্রয় প্রশ্রয়ে চাকরি দিয়ে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। ঠিক তেমনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলাকারীদেরও বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।  

শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেলে নাটোরের সিংড়ায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন।

সিংড়া পৌরসভা কমিউনিটি মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নাটোর ৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।

সিংড়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বলা হয় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শুন্য করতেই এই গ্রেনেড হামলা। কিন্তু আসলে তা নয়। সে সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর ও তারেক রহমানসহ জামায়াত-বিএনপি ষড়যন্ত্রে সেদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করতেই এই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। কিন্তু এখনও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট যে হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীরা একই সূত্রে গাঁথা।  

তিনি বলেন, খুনিরা ভেবেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যদি হত্যা করা হয়, তাহলেই বাংলাদেশে স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং উন্নত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নটিও হত্যা করা সম্ভব হবে। কিন্তু সেই দিন মহান আল্লাহপাকের আশেষ রহমতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। আজকে তাই বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলার আধুনিক রূপ জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্ষমতার ১২ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি প্রযুক্তি একটি ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন কয়েক মাসে বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি জায়গায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় সব কার্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা অব্যাহত রাখতে পেরেছি।  

পলক বলেন, আগামী ৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের গড়ে তুলতে হবে প্রগতিশীল সমাজ। যে প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক সমাজ আগামী দিনে বিশ্বে একটি সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত করবে।

আলোচনা শেষে নিহত শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।