ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগের দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় হাজীগঞ্জ বাজার রণক্ষেত্র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
আ.লীগের দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় হাজীগঞ্জ বাজার রণক্ষেত্র

চাঁদপুর: আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের কয়েক দফার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পশ্চিম বাজার। উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে পশ্চিম বাজারে মঞ্চ তৈরি করা হয়। দুপুরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সেই মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে উত্তর দিক থেকে ইট-পাটকেল ছোড়া হলে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় সমাবেশে আসা লোকজনও ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে ১২২ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।  

আওয়ামী লীগের সমাবেশ থেকে রাফা টাওয়ার ও বিশ্বরোডস্থ একুশে ডিজিটাল হাসপাতালও ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয় এসময়।

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে ফরহাদ নামে এক ছাত্রলীগ নেতা বাসস্ট্যান্ড পশ্চিম বাজার থেকে বাজারে আসছিলেন। এসময় রাহি নামে এক ছাত্রলীগ নেতা তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাইনুদ্দীনের কাছে বিচার দিলেও তিনি বিচার করেননি। তাই বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ ও ফরহাদের বন্ধুরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. মাইনুদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ সংগঠন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসন পুরোপুরি নিরব ভূমিকা পালন করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, একটি দলের দু’টি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে পুলিশ টিয়ার শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আওয়ামী লীগ যে সমাবেশ করবে, এ বিষয়ে থানা থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।