ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের দাবি বাম গণতান্ত্রিক জোটের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের দাবি বাম গণতান্ত্রিক জোটের

ঢাকা: ব্যবসায়ীক অপচেষ্টা রুখে দিয়ে বিনামূল্যে দেশের সকল মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে 'করোনা অতিমারি: সর্বজনের স্বাস্থ্য' বিষয়ক কনভেনশন থেকে এ দাবি করা হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোট সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কনভেনশনে উপস্থিত থেকে এবং অনলাইনে বক্তব্য রাখেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহাবুব, অধ্যাপক ডা. আবু সাঈদ, অধ্যাপক হারুন আর রশীদ, অধ্যাপক ডা. শাকিল আখতার, ডা. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, ডা. মুশতাক হোসেন, অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম, ডা. লেলিন চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডা. রফিকুল হাসান জিন্নাহ, ডা. মনীষা চক্রবর্তী, অনুজীব বিজ্ঞানী ডা. রুবায়েৎ হাসান তানভীর, অভিনু কিবরিয়া ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ডা. রওশন আরা, অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান।

কনভেনশনে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ (মার্কসবাদী) মানস নন্দী, ইউসিএলবির কেন্দ্রীয় সদস্য নজরুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নজরুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) হাবিব বসুনিয়া।

জনস্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে করোনা মোকাবেলায় সরকার ব্যর্থ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, করোনা অতিমারিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত। বাংলাদেশে ১৮ মার্চে করোনা শনাক্ত হয়, পরবর্তী তা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার এই মহামারি মোকাবিলায় শুরু থেকেই উদাসিনতা দেখিয়েছে, যে কারণে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

'করোনা শনাক্তের পরীক্ষা কেন্দ্র দেশের জেলাগুলোতে ও স্থাপন করতে পারেনি। তাই ব্যাপক মানুষ করোনা সনাক্তের বাইরে থেকে গেছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া করোনা টেস্টের জন্য নিম্নমানের হাসপাতালকে দায়িত্ব দিয়েছে।  সেই হাসপাতালগুলো পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট দিয়েছে। যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়েছে, মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম করে কোর্টি কোর্টি টাকা লুটপাট করেছে। সরকার এর দায় নেয়নি। ' 

বক্তারা আরও বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতাকে প্রধানমন্ত্রী সফলতার সার্টিফিকেট দিয়ে দায়মুক্ত করেছে। সরকার লকডাউন দিয়ে তার দায় না নিয়ে সাধারণ ছুটি নাম দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেছে। যার কারণে গরিব মানুষ কাজ হারিয়ে নিদারুণ অর্থকষ্টে পড়েছে। আর সরকার এর জন্য সহায়তামূলক পদক্ষেপ নিলেও তা জনগণের কাছে না পৌঁছে আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মীরা লুটপাট করে নিয়েছে।

কনভেনশন থেকে টেস্টবৈরী পরিবেশের পরিবর্তে টেস্টবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে প্রতিদিন বিনামূল্যে কমপক্ষে এক লাখ টেস্ট করার উদ্যোগ গ্রহণ, মাস্ক পরিধান ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জন্য ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।

পাশাপাশি কনভেনশন থেকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে যে কোন ব্যবসায়ীক অপচেষ্টা রুখে দিয়ে বিনামূল্যে দেশের সকল মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য প্রশাসন পুনর্বিন্যাস করার দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
আরকেআর/এসএমএকে/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।