ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধু ভৌগলিক আর শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২১
বঙ্গবন্ধু ভৌগলিক আর শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের/ ফাইল ফটো

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ভৌগলিক মুক্তির রোল মডেল আর তার কন্যা শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল। ’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের ভৌগলিক মুক্তি দিয়ে গেছেন, আর তার কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির সব সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করেছে। অন্যদিকে, এদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য অসাম্প্রদায়িক চেতনার মর্মমূলে আঘাত করে একটি মহল সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিতে চায়। ’

বুধবার (৬ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১২ বছর অর্থাৎ এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত এক যুগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। এসময় দেশে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে। জনগনের আস্থা ও সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সবক্ষেত্রে উন্নয়নের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। চাল উৎপাদন, সবজি উৎপাদনে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ স্থানে। জনবল রফতানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম। শিল্পক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এ পরিবর্তনকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামী একশ’ বছরে বাংলাদেশ কেমন হবে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতবর্ষ ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন। ’

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা দেশের অগ্রগতি দেখতে পারে না। দেশকে এগিয়ে যাওয়া দেখলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। এদেশের মানুষ নীতিহীন ও স্বপ্নহীন রাজনীতি বার বার বর্জন করেছে। তাদের রাজনীতি লক্ষ্যহীন, স্বপ্নহীন। একমাত্র উদ্দেশ্য ক্ষমতা দখলের। কিন্তু যতক্ষণ শেখ হাসিনা জনমানুষের পাশে আছেন, ততক্ষণ কোনো অপশক্তিই দেশকে পিছিয়ে দিতে পারবে না। ’

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দলের শৃঙ্খলা মেনে ঐক্যবব্ধ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ দলে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউই অপরিহার্য নয়। নিয়ম-শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করলে, কেউ পার পাবেন না, সে যেই হোন। দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষায় শেখ হাসিনা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। ’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।

সভায় মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি গণমুখী দল। এ দলের লক্ষ্য ক্ষমতায় গিয়ে ভোগের নয়, মানুষের সেবা করার। সেই লক্ষ্য ও ব্রত নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। এ কর্তব্য থেকে আওয়ামী লীগ একটুও পিছপা হয়নি। আওয়ামী লীগ একদিকে গণসংগ্রামের ঐতিহ্য বহন করে, অন্যদিকে সেবার ব্রত নিয়ে সরকার পরিচালনা করে। গত ১২ বছরে শেখ হাসিনার দুই সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা হোসেন পুতুলের নামে বিদেশে অ্যাকাউন্ট রয়েছে এর প্রমাণ কেউ দেখাতে পারেনি। ’

আলোচনার আগে সরকারের এক যুগের সফলতায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরধে সুরক্ষা সামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
এসকে/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।