ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মৌলভীবাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
মৌলভীবাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী অলিউর রহমানের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।  

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের শাহ মোস্তফা সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হওয়ার আগেই হোটেলে ঢুকে বিএনপির নেতাকর্মীদের লাঞ্ছিত করে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে হামলাকারীরা। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশেই বিএনপি নেত্রী সাবেক সংসদ সদস্য খালেদা রব্বানীর বাসভবনেও হামলার উদ্দেশ্যে হামলাকারীরা বাসার গেট টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।  

আগামী ৩০ জানুয়ারি মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে অংশ নেন। দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের সুলতানপুর এলাকায় গণসংযোগ শেষে নাসের চলে যান। এরপর বিকেল ৩টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিন বক্স, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক জি এম মুক্তাদির রাজুসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী গণসংযোগ শেষে শহরের শাহ মোস্তফা সড়কে অবস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চুর মালিকানাধীন ইসমাইল হোটেলে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তারা নির্বাচন কেন্দ্রিক দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এক পর্যায়ে নৌকা সমর্থক শতাধিক নেতাকর্মী মোটরসাইকেলে এসে হোটেলে  অবস্থানরত বিএনপি নেতাদের ওপর লাটিসোটা দিয়ে অতর্কিত হামলা এবং হোটেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় বিএনপি নেতারা হামলা থেকে বাঁচতে দৌঁড়ে পালিয়ে যান।  

হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্তার হোসেন। এ সময় তাকে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে দেখা যায়।  

তিনি বলেন, নৌকা এবং ধানের শীষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে কি কারণে ঘটনার সূত্রপাত তা জানার চেষ্টা করছি।

ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোঁরার কর্মচারী ইসমাইল জানান, কিছু বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ হামলার ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যাই। প্রাণ বাঁচাতে হোটেলের পেছনে পালিয়ে ছিলাম। কি কারণে এ হামলা হলো তা জানি না।

মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জাকারিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এটা তেমন কোনো বড় ঘটনা নয়। নির্বাচনী উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
বিবিবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।