ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রতি মানবতা লঙ্ঘন কীভাবে হয়, প্রশ্ন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রতি মানবতা লঙ্ঘন কীভাবে হয়, প্রশ্ন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, এতিমের টাকা আত্নসাৎতের দায়ে আদালতের সাজা প্রাপ্ত ব্যক্তির প্রতি কীভাবে মানবতা লঙ্ঘন হয়। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না বলেই বলা হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘন।

স্বাধীনতা বিরোধীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, তারা মানবতার কথা বলে। কথায় কথায় বলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ৩০ লাখ মানুষ মারলো তাদের দাফন-কাফনও তো করায় নাই। সেই সময় মানবতা লঙ্ঘিত হয় নাই! মানবতার লঙ্ঘন হয় এখন?

বৃহস্পতিবার ( ৯ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া হলে 'মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ঐতিহাসিক কপিলমুনি মুক্ত দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, একটি শ্রেণীর এখনো বাংলাদেশকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু তাদের সাধের পাকিস্তান একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। অকার্যকর রাষ্ট্র। বাংলাদেশের উন্নয়ন তাদের সহ্য হয় না। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের কারণে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে। আমাদের দেশে এক শ্রেণী আছে, যারা মনে প্রাণে স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। স্বাধীনতার চেতনাকে ধারন করে না, লালন করে না। আমাদের রাষ্ট্রের যে মূলনীতি গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র এরা এগুলো ধারন করে না।

তিনি বলেন, আমি জীবনেও দেখি নাই নিজের দলের খেলা হলে, নিজের দলকে রেখে অন্যকাউকে সমর্থন করে। যদি অন্য দুই দলের খেলা হয় তাহলে আমার সুযোগ থাকে অপশন থাকে তাকে সমর্থন করার।

মন্ত্রী বলেন, এরা সব সময় ভারতের পিছে লেগে থাকে, কারণটা কি? আমাদের মুক্তিযুদ্ধের তারা সহয়তা করেছিল, সাহায্য করেছিল। আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। না হলে ৯ মাসে আমরা দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না। দীর্ঘ সময় লাগতো আরও রক্ত দিতে হতো।

মোজাম্মেল হক বলেন, বাঙালীর ওপর নানা অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে। বাংলা রাষ্ট্রভাষায় কথা বললে ইসলাম থাকবে ন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টকে নৌকা মার্কায় ভোট দিলে বউ তালাক হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মা বোনদের বলা হয়েছে তারা গণিমতের মাল। এতো মুনাফেক বেইমান ছিল তারা। আমাদের পবিত্র ধর্মকে তার চরমভাবে অবমাননা করেছে। এখনো আবার এই স্বাধীন দেশেও তারা ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করেছে। ঐ শক্তিই এখনো ধর্মের অপব্যাখ্যা করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তারা বিশ্বাস করে না।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ মুজিবুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, শুকুর আলী সুমন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন মালা, আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২১
এমএমআই/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।