ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

যার যা প্রাপ্য সেটা তাকে দিতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
যার যা প্রাপ্য সেটা তাকে দিতে হবে

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা যে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, সেটা এক দিনের প্রস্তুতি ছিল না। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতার সংগ্রামে পৌঁছেছি, স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি।

এ সময়গুলোতে যারা আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা সবাই আমাদের শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য। যার যা প্রাপ্য সেটা তাকে দিতে হবে।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটি’র আয়োজনে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে সেদিন যুদ্ধে গিয়েছিলাম, নূন্যতম যা কিছু অর্জনের জন্য লড়াই করেছিলাম, তার অনেক কিছু অপূর্ণ রয়ে গেছে, অথবা হরণ করা হয়েছে। যে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম, সেই গণতন্ত্র এ দেশে বার বার নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে এবং আজকেও মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। সবার জন্য বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে যে লড়াই আমরা করেছিলাম, আজ করোনার মধ্যেও প্রায় ১১ হাজার নতুন কোটিপতি সৃষ্টি হয়েছে, আর প্রায় সাড়ে তিন কোটি নতুন দরিদ্র তৈরি হয়েছে। এ যে বৈষম্যের পাহাড়, এমন পাহাড় তৈরির জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি।

তিনি বলেন, আমরা একটা মর্যাদাবান দেশের জন্য লড়াই করেছিলাম, কিন্তু যখন আমাদের দেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে ডাকার যোগ্য বিবেচনা করা হয় না, যখন আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা সম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে অন্য কোনো দেশ স্যাংসনের (নিষেধাজ্ঞা) আওতায় নেয়, যখন আমরা নিজেরাও নিজেদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অধিবাসী ভাবতে পারি না। তখন সে মর্যাদা কোথায় থাকে।  

বিএনপির এ প্রবীণ নেতা বলেন, ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বাংলাদেশে যিনি প্রথম বলেছিলেন, উই রিভল্ড, আমরা বিদ্রোহ করলাম। তার নাম জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের অনেক সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রথম যিনি এ কাজটি করেছেন তার নাম জিয়াউর রহমান। আমরা প্রথম তার মুখেই রেডিওতে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছি। কেউ এখন যদি আইন করে কিংবা কোনো আদালত রায় দিয়ে আমাকে বলে নিজের কানে যা শুনেছ তা বিশ্বাস করো না। আমি কী করে তার সে হুকুম মানবো। আমিতো কারও কাছ থেকে শোনা কথা বলছি না। আমি আমার নিজের কানে শোনাটা বিশ্বাস করবো না? কিন্তু আমাদের সত্য ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দেশকে এ ধরনের অপরাধ থেকে মুক্ত করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও আবদুল হাই সিকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।