ঢাকা: দেশের গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী প্রকৌশলী এনামুল হক।
তিনি বলেন, ‘গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ১৮ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আরও বড় বড় চুক্তি সম্পন্নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ খাতে বিনিয়োগের জন্য যথেষ্ট সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। ’
গ্যাস সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে দেখেছি পেট্রোবাংলা এবং বাপেক্সের চারটি রিগ পড়ে আছে। দীর্ঘদিন এ খাতে বিনিয়োগ বন্ধ ছিল। আমরা বিনিয়োগ বাড়িয়েছি এবং নতুন রিগ কেনাসহ আগেরগুলোতেও কাজে লাগিয়েছি। বর্তমানে ওইসব রিগ গ্যাস অনুন্ধান, নতুন কূপ খনন ও পতিত কূপ পুনর্বাসনের কাজ করছে। এছাড়া বিদেশ থেকে আরও যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘এ খাতের উন্নয়নে সরকার আন্তরিক। ’
শনিবার প্ল্যানারস টাওয়ারে আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংকটে আবাসন শিল্প: সম্ভাব্য করণীয়’ গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ সব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর বলেন, ‘আমাদের উদ্যোগে নতুন নতুন ক্ষেত্রে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু গ্যাস রাতারাতি বিতরণ করা যায় না। ’
তিনি বলেন, ‘৩০ ইঞ্চি ব্যাসের এক কিলোমিটার গ্যাস পাইপলাইন বসাতে বর্তমানে ব্যয় হয় ১০ কোটি টাকা। তাই বাসা-বাড়িতে গ্যাস লাইন নেওয়ার অভ্যাস থেকে সরে আসতে হবে। শিল্প কারখানায় গ্যাস দিয়ে উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করতে হবে। ’
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এসএম আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎ সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ কেনার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাকে ডিজেল প্লান্ট থেকে ১৩ টাকা এবং ফার্নেস ওয়েল প্লান্ট থেকে ৮ টাকায় বিদ্যুৎ কিনে সাড়ে তিন টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময় : ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১১