ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রতিবাদে রিট করবে ক্যাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৫
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রতিবাদে রিট করবে ক্যাব ছবি: রাজীব / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ার প্রতিবাদে হাইকোর্টে রিট দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কনজুমারস অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ক্যাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম।



শামসুল আলম বলেন, সরকার সম্পুর্ণ অযৌক্তিক ও বেআইনিভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। আমরা প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টাকে দাম কমানোর জন্য খোলা চিঠি দিয়েছি। তাতে কোন সাড়া পাইনি।   খুব শিগগিরই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে আবেদন করব। বিইআরসি যদি দাম না কমায় তাহলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।

ক্যাবের এই উপদেষ্টা বলেন, এর আগেও একবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো। তখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে স্থগিত করা হয়। ক্যাব আশা করছে এবারও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বেআইনিভাবে দাম বাড়ানোর এই আদেশ প্রত্যাহার করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি প্রতিবারেই বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

গত ২৭ আগস্ট যখন দাম বাড়ানো হয় তার আগের দিনও বিইআরসি জানত না, এমন তথ্য দিয়ে এই ক্যাব উপদেষ্টা বলেন,  জ্বালানি উপদেষ্টা বিইআরসির সঙ্গে বৈঠক করেন, আর তার পরদিনই দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসে।  

বিইআরসির অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হচ্ছে, এমন মত দিয়ে তিনি বলেন, এতে ক্যাব হতাশ ও উদ্বিগ্ন।

শামসুল আলম বলেন, গ্যাস খাত আগে থেকেই মুনাফায় রয়েছে। বিইআরসির আইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। কোন কোম্পানি যদি মুনাফায় থাকে তাহলে কোন অবস্থাতেই তারা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে পারবে না। কিন্তু তারপর বেআইনি প্রস্তাবগুলো আমলে নিয়েছিলো বিইআরসি।

আমরা তখনই বিরোধীতা করেছিলাম। কিন্তু তারপরও বিইআরসি দাম বাড়িয়েছে, বলেন শামসুল আলম।  

বিদ্যুৎ খাতও মুনাফায় যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে থাকার পরেও কৃত্রিমভাবে ঘাটতি দেখানো হচ্ছে বলে মত দেন তিনি।

আগে যখনই তেলের দাম বেড়েছে, তখনই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন তেলের দাম কমছে, তাহলে এখন কেন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে? প্রশ্ন শামসুল আলমের। তিনি বলেন, আমরা দাম বাড়ানোর আদেশের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছি।

ক্যাবের সামাজিক আন্দোলনের ধরণ কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে শামসুল আলম বলেন, আমরা আগেই বলেছি বেআইনিভাবে দাম বাড়ালে ভোক্তারা বিদ্যুৎ বিল দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, যে  আইনে বিইআরসি পরিচালিত হচ্ছে, তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে দাম ‍বাড়ানোর গণশুনানির দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে আদেশ দিতে হবে। কিন্তু সাত মাস পরে আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিইআরসি এটা করতে পারে না।
 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ক্যাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম মোসাব্বের হোসেন, ড. শাহনাজ চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময় ১১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৫
এসআই/এমএমকে 

  
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।