ঢাকা: ত্রিপুরা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হচ্ছে বুধবার (১৬ মার্চ) থেকে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানি শুরু হবে ২৩ মার্চ।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ আমদানির চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব মাজহারুল হক ও ভারতের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি সচিব কিশোর শর্মা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম।
ত্রিপুরার পালাটান গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হবে। বিদ্যুৎ আনতে বাংলাদেশ অংশে ২৭.৮ কিমি ও ভারতে অংশে ২৪ কিমি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। লাইনটি বাংলাদেশে কুমিল্লার কসবা দিয়ে প্রবেশ করেছে।
চুক্তিতে ভারত যখন বিদ্যুৎ দেবে, বাংলাদেশ তখনই টাকা পরিশোধ করবে। এ ছাড়া আর কোনো চার্জ থাকছে না। এর আগে, ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। ওই চুক্তিতে বিদ্যুৎ না কিনলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হতো। এবার সেই ক্যাপাসিটি চার্জ থাকছে না।
গত ৯ জানুয়ারি সমঝোতা স্বারক অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে বলেছিলেন, আর্থিক মূল্য দিয়ে বিষয়টি বিচার করা যাবে না, এটি সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য করা হয়েছে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আরও অনেক ব্যয় জড়িত থাকে কিন্তু সেসব ধরা হয়নি। বাংলাদেশ ভারতের ভাতৃপ্রতিম দেশ বলে এই দরে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে।
ভারত থেকে ভেড়ামারা দিয়ে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। এবারের ১শ মেগাওয়াট আনার মধ্য দিয়ে ৬শ মেগাওয়াটে উন্নীত হচ্ছে। আগের ৫শ মেগাওয়াটের মধ্যে ২শ ৫০ মেগওয়াট আনা হয় ২.৫০ টাকা দরে। অন্য ২শ ৫০ মেগাওয়াট ৪.৫০ টাকা দরে আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট। তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে প্রায় ১৭ টাকা। আর গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে মাত্র দুই টাকার মতো।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৬
এসআই/বিএস