এরপর এক হাজার ২০৭ নম্বর ফেইস থেকে কয়লার উত্তোলন করা হবে। এক হাজার ২১৪ নম্বর ফেইসে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে এক হাজার ২০৭ নম্বর ফেইসে স্থাপন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত দেড় মাস সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, খনির এক হাজার ২১৪ নম্বর কোল ফেইস থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হয় গত বছরের ২৪ জুলাই। এ ফেইস থেকে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রায় ছয় লাখ টন যা অর্জিত হয়েছে।
এক হাজার ২১৪ নম্বর ফেইসে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে এক হাজার ২০৭ নম্বর ফেইসে স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। এক হাজার ২০৭ নম্বর ফেইসটিতে উত্তোলনযোগ্য কয়লার পরিমান পাঁচ/ছয় লাখ মেট্রিক টন।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে জানান, খনির কয়লা উৎপাদন বন্ধের বিষয়টি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। উৎপাদনশীল এক হাজার ২১৪ নম্বর কোল ফেইসে উত্তোলনযোগ্য মজুদ কয়লা শেষ হয়ে যাওয়ায় ৩১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে খনির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
একটি ফেইসের কয়লা উত্তোলন শেষ হলে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়ে নতুন ফেইসে স্থাপনের জন্য ৪০/৪৫ দিন সময় লাগে।
এছাড়া এ সময়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্রটি বিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। এজন্য কয়লার উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। সব প্রস্তুতি শেষ করে মার্চ মাসের মাঝা মাঝি সময়ে এক হাজার ২০৭ নম্বর ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এমডি বলেন, কয়লা উৎপাদন বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া ২৫০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখতে জ্বালানি সমস্যা হবে না। বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ডে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দু'টি ইউনিট প্রায় চার মাস চালু রাখা যাবে।
এছাড়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডেও বিপুল পরিমাণ কয়লার মজুদ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৭
আরবি/এমজেএফ