বিদ্যুতের চাহিদা না মিঠে সামর্থ্যবানেরা বিকল্প হিসেবে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও অধিকাংশই থাকেন কুপি-বাতি জ্বালিয়ে বা অন্ধকারে। আর অন্ধকারে গ্রামের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ মানুষের দৈনন্দিন কাজেও ঘটছে বিঘ্ন।
রংপুর সদর থেকে আট কিলোমিটার দূরে একই উপজেলার সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের পালিচড়া বাজারে বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছিলো। বাজারে সৌর বিদ্যুৎ বা বিকল্প হিসেবে কেউ কেউ জেনারেটর থেকে লাইন নিয়ে বাতি জ্বালিয়ে বেচাকেনা করেন। এতে বেচাকেনার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
পালিচড়া বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুতের কোনো টাইম-টেবিল নেই। সকাল হোক আর বিকেল বা রাত; একবার গেলে কমপক্ষে এক ঘণ্টা। কোনো কেনো সময় এক ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ আসে না। ফলে চার্জার বাতি বা জেনারেটর থেকে লাইন নিয়ে বাতি জ্বালাতে হয়।
এই অভিযোগের সত্যতা মেলে বুধবার (৩০ আগস্ট) দিনগত রাত সোয়া দুইটায় যখন বিদ্যুত চলে যায় তখন। বৃষ্টি না হলেও সন্ধ্যা থেকেই লোডশেডিং হচ্ছিলো। এভাবে পালা করে রাত সোয়া দুইটার দিকেও বিদ্যুৎ চলে যায়।
বিদ্যুত ঠিকঠাক না থাকায় গ্রামের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনারও ব্যাঘাত ঘটে। তারা কুপি-বাতি বা হারিকেনের আলোয় সন্ধ্যার পড়া চালিয়ে যায়।
আর সন্ধ্যায় রানা-বাড়া এবং ঘরে-দোর গোছানোর সময় বিদ্যুত না থাকায় সমস্যায় পড়েন গ্রামের মানুষ।
পালিচড়া গ্রামের মোবারক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সরকার প্রতি ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু এভাবে লোডশেডিং দিলে আমরাই গ্রামের মানুষ বেশি ভোগান্তিতে পড়ি। কারণ গ্রামেই বেশি লোডশেডিং হয়। এতে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার ক্ষতি হয়।
গ্রামের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে হলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন বলে মনে করেন গ্রামীণ জনপদের বাসিন্দারা।
পালিচড়ায় বসে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পুরো এক ঘণ্টার মাথায় রাত সোয়া তিনটার দিকে বিদ্যুত চলে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআইএস