মঙ্গলবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে খনির গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-বড়পুকুরিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল শাহিন, খনির ম্যানেজার সাজিউল ইসলাম সাজু, শ্রমিক রাকিব, এনামুল, খোরশেদ, আলম ও কয়লা ব্যবসায়ী মোস্তফা।
বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বাংলানিউজকে জানান, তৃতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা খনির গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন করেছিলেন। সকাল ৯টার দিকে কয়লা খনির ম্যানেজার (প্রশাসন) মাসুদুর রহমান হাওলাদারসহ আট/১০ জন খনি কর্মকর্তা লাঠিসোটা নিয়ে গেটের বাহিরে এসে শ্রমিকদের ওপর হামলা করেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় আহত হন ওই সাতজন।
ঘটনার পরপর স্থানীয়রা শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে খনির সামনের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এরপর থেকে তারা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
খনি নিরাপত্তায় পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহানুল হক ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল হক প্রধানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রোববার (১৩ মে) সকাল ৬টা থেকে কয়লা খনির গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করে আসছেন।
সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এসআই