এতে দারুণ সুযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে বিদ্যুৎ লাইসেন্সিং বোর্ড। সংস্থাটি ইলেক্ট্রিশিয়ানদের কারিগরি পারমিটের আবেদন গ্রহণ করছে মেলাতেই।
তিনি বলেন, আমরা মেলা উপলক্ষে বিশেষ সুযোগ দিয়েছি। আগে যারা আবেদন জমা দিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গেই আজকের আবেদনকারীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তাই দুপুরে মেলা উদ্বোধনের পরেই দেখা গেছে বেশ লম্বা লাইনও।
অন্যদিকে, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ সারওয়ার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মেলায় বিদ্যুতের সংযোগের ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিচ্ছি। এখানে যদি গ্রাহকরা তাদের পুরোপুরি ডকুমেন্ট দিতে পারেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই ডিমান্ট নোট ইস্যু করা হবে। তবে বড় চাহিদার (যেমন শিল্প) ক্ষেত্রে এটা সম্ভব না। এছাড়া বেশি চাহিদার ক্ষেত্রে সরেজমিনে পরিদর্শন করতে হয়।
বিকাশ, শিওর ক্যাশ ও রকেটের মাধ্যমে কিভাবে বিল দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে ডেসকো। একইসঙ্গে গ্রাহকের কোনো অভিযোগ থাকলেও মেলায়ই নেওয়া হচ্ছে। আরেকটি টিম রয়েছে যারা দ্রুততার সঙ্গে সেসব সমস্যার সমাধান দেবে।
ডেসকোর মোবাইল অ্যাপ ও অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম ও স্মার্ট প্রিপ্রেমেন্ট মিটার সম্পর্কে গ্রাহকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এমডি।
দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হওয়ায় সেরা কোম্পানির পদক জুটেছে নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ললাটে। রাষ্ট্রীয় এই কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) এএম খোরশেদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মাত্র ৫০ একর এলাকায় এক হাজার ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করেছি। এটা কিভাবে সম্ভব হয়েছে সেই নকশা এখানে প্রদর্শন করা হচ্ছে। যাতে অন্যরা উপকার পায়।
আইসিসিবিতে বিশাল পরিসরে শুরু হয়েছে এই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মেলা। তিনটি হলে চলমান এই মেলায় একটিতে বিদ্যুৎ খাত, আরেকটি জ্বালানি খাত এবং শেষটিতে রয়েছে প্রাইভেট সেক্টরের কোম্পানিগুলোর স্টল। যেখানে এলপি গ্যাসের আধিক্য।
এছাড়া প্রত্যেকটি হলেই দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। চোখের পড়ার মতো উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে শিক্ষার্থীদের। তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশাল কর্মযজ্ঞ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
এসআই/টিএ