ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

লুব্রিক্যান্ট উৎপাদনে লুব-রেফ’র পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
লুব্রিক্যান্ট উৎপাদনে লুব-রেফ’র পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়

ঢাকা: লুব্রিক্যান্টস শিল্পে উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগত উন্নয়নে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড লুব্রিক্যান্টস ও ট্রান্সফরমার অয়েল উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব নতুন দু’টি প্রযুক্তি এনেছে।

ন্যানো ও নিনাস নামের প্রযুক্তি দু’টি ট্রান্সফরমার ও ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। এ প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশে এটিই প্রথম বলে দাবি করছেন উদ্যোক্তারা।

বিএনও ব্র্যান্ড বাজারজাত করা এ কোম্পানিটি সুইডেনের ট্রান্সফরমার তেল প্রযুক্তি ‘নিনাস’ এবং ফিনল্যান্ড থেকে ‘ন্যানো’ প্রযুক্তি ইঞ্জিন লুব্রিক্যান্টস চালু করেছে।

রোববার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড আয়োজিত  ‘বাংলাদেশের লুব্রিক্যান্ট এবং বিদ্যুৎখাতে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি’ বিষয়ক সেমিনারে প্রযুক্তি দু’টির উদ্বোধন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চারলোটা স্কালাইটার, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ইজাজ হোসাইন। লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে সেমিনারে এ খাতের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 
অনুষ্ঠানে বিডা’র চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমেই বিকাশ হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এজন্য সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন তা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির। আশা করছি লুব-রেফ বাংলাদেশ যে নতুন প্রযুক্তি এনেছে তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
 
বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এই সংক্রান্ত লুব অয়েলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির বিকাশের কারণে যে কোনো ধরনের পণ্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। লুব অয়েল তাদের মতো একটি।
 
আয়োজকরা জানান, ন্যানো প্রযুক্তি ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও লুব্রিকোন্স পদ্ধতির নির্গমন কমায়। ফলে এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। অন্যদিকে নিনাস টেকনোলজি ট্রান্সফারমারের তেলে ব্যবহার করা হয়, যা পরিবেশবান্ধব। কারণ এটি নিম্মতাপমাত্রা তৈরি করে। নিনাস সুইডেন ও ন্যানো টেকনোলজি ফিনল্যান্ডের কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে লুব-রেফ সংযোজন করেছে।
 
লুব-রেফ’র এমডি মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, দেশে শিল্প কারখানা স্থাপনের হার বাড়ছে। তাই এই খাতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন প্রযুক্তি দু’টি নিয়ে এসেছি। এটি পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী, যা ৫০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। আবার পুনর্ব্যবহারযোগ্যও।

এমডি বলেন, পেট্রোকেমিক্যাল ও লুব্রিক্যান্ট শিল্পে তাদের প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতা। স্থানীয় প্লান্টে বিশ্বমানের লুব্রিক্যান্ট প্রস্তুত করে এরইমধ্যে বাজারের আস্থা অর্জন করেছে লুব-রেফের ব্র্যান্ড বিএনও। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।