বুধবার (২৪ জুন) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘২০২০-২১ অর্থ বছরে বিদ্যুৎখাতের বাজেট: অগ্রাধিকার খাতে বরাদ্দ ও বিকল্প প্রস্তাব শীর্ষক’ এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
নসরুল হামিদ এমপি বলেন, তবে আমি এটা স্বীকার করি আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো অনেক জায়গায় অতিরিক্ত বিল করেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে চার কোটি বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ৩০ লাখ প্রিপেইড মিটার রয়েছে। এসময় সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিল করতে গেলে অনেক মানুষ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হতো। বিষয়টি বিবেচনা করে একটি বিল তৈরি করা হয়েছে। যাদের বিলে অসঙ্গতি রয়েছে তারা আগের মাসের বিল নিয়ে অফিসে গেলে সমন্বয় করে দেওয়া হচ্ছে।
‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, কোনো সমস্যা নেই। নিজ নিজ এলাকার বিদ্যুৎ অফিসে গেলে ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। চার কোটি গ্রাহকের মধ্যে আমরা ধরে নিয়েছি চার থেকে পাঁচ লাখ গ্রাহকের একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিছু শহর এবং কিছু গ্রাম এলাকায়। ’
তিনি বলেন, অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে এটা কেন হলো। এটা কিন্তু আপনার মাথায় রাখতে হবে আপনি কিন্তু এখন বাসায় থাকছেন। এসি-ফ্যান বেশি ব্যবহার হচ্ছে। এটা কিন্তু আমরা কেউ চিন্তা করিনি। আমি বাসায় থাকলে আমার রুমের এসি-ফ্যানটা বন্ধ থাকতো। এনার্জি নিতো না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেকেই হয় তো মনে করতে পারেন আমি বাসায়ই তো ছিলাম। আমার কেন কম হবে না। আমাকে অনেকে ফোন করেছেন। বাসায় থাকলে আপনার কম হবে অফিসে থাকলে কম হবে না। আমি বুঝলাম না। তখন তাকে বোঝালাম আপনি বাসায় যে রুমে আছেন সেখানে তো এসি ছেড়ে আছেন। বললো হ্যাঁ আছি। দিনের বেলায় যখন অফিসে থাকতেন তখন বন্ধ থাকতো তাহলে বিদ্যুৎ বিল কম আসতো।
সেন্টার পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালয়নায় চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
এসই/এএ