ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

দেশে পৌঁছেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
দেশে পৌঁছেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টর

ঢাকা: দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র-আরএনপিপি) প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর (পরমাণু চুল্লি) ও স্টিম জেনারেটর রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে পৌঁছেছে।

জাহাজযোগে রাশিয়া থেকে পাঠানো এ যন্ত্রপাতি সোমবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছায়।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হার্ট বা মূল যন্ত্র এই রিঅ্যাক্টর। এই রিঅ্যাক্টর দেশে আসার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শৌকত আকবর।

নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমস্ত যন্ত্রপাতি রাশিয়ায় তৈরি হচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) নিজস্ব মেশিন উৎপাদনকারী কারখানাগুলো এ যন্ত্রপাতি তৈরি করছে।

দেশে পৌঁছানো এ রিঅ্যাক্টর ও স্টিম জেনারেটর মোংলা সমুদ্রবন্দরে আনা হয়েছে। সেখান থেকে নদীপথে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পে আনা হবে।

আগামী ৫ নভেম্বর মোংলা থেকে যন্ত্রপাতিগুলো জাহাজযোগে ঈশ্বরদীর পথে রওয়ানা হবে। রাশিয়ার নভোরোসিস্ক থেকে এ যন্ত্রগুলো ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে পৌঁছালো।

প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, আগামী ৫ নভেম্বর মোংলা থেকে নৌপথে যন্ত্রপাতিগুলো রূপপুর প্রকল্পের পথে রওয়ানা হবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হার্ট এই রিঅ্যাক্টর প্রকল্পে আনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপন করা হবে।

রূপপুর প্রকল্পের নকশা ও নির্মাণ কাজ রাশিয়ান পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর দু’টি ইউনিটের প্রত্যেকটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২শ মেগাওয়াট, অর্থাৎ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন হবে ২৪শ মেগাওয়াট। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে রিঅ্যাক্টর দু’টি স্থাপন করা হবে তা রাশিয়ার সবশেষ উদ্ভাবিত ভিভিইআর-১২০০। এতে সর্বাধুনিক থ্রি প্লাস প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিবেকানন্দ রায় স্বাক্ষরিত এক প্রস বিজ্ঞপ্ততিতে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের মূল ইক্যুইপমেন্ট নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল এবং একটি স্টিম জেনারেটর গত ১৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় সমুদ্রপথে রাশান ফেডারেশনের ভলগা থেকে প্রায় ১৪,০০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের মোংলা সমুদ্র বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ ইক্যুইপমেন্টসমূহ ২০ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে।

বিশেষ এ ইক্যুপমেন্ট রাশান ফেডারেশনের সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে বাংলাদেশের স্থানীয় বিশেষ বার্জে স্থানান্তর করা হবে। আগামী ৫ নভেম্বর  মোংলা বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে নদীপথে চাঁদপুর হয়ে আনুমানিক ২১ নভেম্বর পদ্মাপাড়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় নবনির্মিত রূপপুর নৌ-বন্দরে পৌঁছাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০/আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা
এসকে/এএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।